বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

তৌহীদা ইয়াকুব



কবিতার কালিমাটি ১০২



মন্বন্তর

(১)

অপার্থিব ছবি ফুটে আছে
বাতিল ল্যান্ডস্কেপে ধুলো-ঝড়
পাশ কাটিয়ে যেতে হয়
এইসব যোগশূন্য ভ্রান্তিকাল এখন
তাই পড়ন্ত সন্ধ্যায় ফিরিয়ে আনি মধ্যদুপুর
বিকেলের দুরন্ত মাঠ অজর অভিলাষ।
এপারে ওপারে মনোহর তরঙ্গের কলতান
স্থবিরতা কেটে গেছে বহুদিন এই বোধে
যথার্থ ছিল না কিছু তবু
প্রলুব্ধ সময়ের মৌতাত লিখি, সাজাই
যৌথ ক্যাটালগ।

অর্থহীন নির্ভার এ ঘুমকাল কেটে গেছে
খুব কাছাকাছি ভবিতব্য টেনে আনি
দুরন্ত উড্ডীন ছূটোছুটি
জাগতিক পৃথিবীর
একটা সমন্বয় খুঁজে নেয়া।

(২)

এবার উন্মুক্ত বলয়
বিদীর্ণ করে না অপরিচিতের ছায়া।
স্রোতের বিভাজন দরজার অবয়বে
সবটুকু অলৌকিক।
বারান্দার অন্ধকার থেকে ফিরে গেছে
মন্বন্তরের ইতিকথা পৃথিবীর ওপাশের ফিসফাস।

একটা সবুজ উঁকি মনে করার এই তো সময়

অথচ দেরি হয়ে যাচ্ছে অভিবাদন
অনুসুয়া পৃথিবীর সুত্রপাত।

আবহাওয়া দপ্তর আগামি রোদের প্রখরতা বলুক
উপাধানে হেসে উঠে লালিত্য গৃহিণীর
রূপান্তরিত আকাশ দেখুক
ঋজু ও নির্মল সুতানুটির ফুটে উঠা
অন্য গল্পের হাতছানি, এবার
পিলসুজে ভরে নেবে মৌসুমি প্রসন্নতা
মুখোমুখি সংরাগে।

(৩)  

ফরসি সুগন্ধি ঘুরছে বাতাসে
অনন্ত সৃজনের মুলে
পূর্বাপর ফিরে আসার অদৃশ্য শৈলী।
একই সময়ে বেজে উঠা সাইরেন মুলত
বিগত মৃত্যুর করোটিতে বাতাসের বিলাপ
পীতবর্ণ সময়ের কাছে পৌঁছে গেছে
সীমান্ত রেখা।
কাঁটাতার এবার করতলে বিঁধে গেছে
বেষ্টনী বরাবর বিদীর্ণ করে
প্রাতিস্বিক ভঙ্গিমা।

শ্বাসের ভিতর উৎকণ্ঠা ভরে
দেখে নিতে হবে বাতাসে এঁকে রাখা
সারি সারি উইন্টার ল্যান্ডস্কেপ।
সময়ের ব্যবধানে প্রত্নতা্ত্বিক দীঘল ছায়ায়
মৃত্যু গুনে যাবে সংখ্যা এবার
আর সংখ্যা চিনে নেবে মৃত্যুর মুখ।











কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন