কবিতার কালিমাটি ১০২ |
আনন্দ
সব ফেলে রেখে
আমাকে পেতে হবে অখন্ড
বিকেলে শান্তির বিকেলে
মৈথুনের আশ্চর্য আনন্দ
হাঁসের জল ছেঁকে
দুধ খাওয়ার ঐশ্বরিক আমোদে
বিপক্ষের অচকিত সম্মতির
অনিন্দিত সম্বলে
কথা
এই যে
টিকটিক শব্দে পাখা
ঘুরে চলেছে
তাতে ঘুমের
ব্যাঘাত
ঘটছে বারে বারে
এই যে
একটানা ঝিঁ ঝিঁ পোকার
ডাক বাইরে
হঠাৎ সুপুরি পাতা
মাটিতে
পড়ার শব্দ তাতে
লোকে জেগে
গিয়ে পন্ডিতের
বানান
ভুলের বিরক্তির মতো
অনেক বার
দীর্ঘশ্বাস ফেলে
এপাশ ওপাশ
করছে বিছানায়
অনেক রাত
হয়েছে
যন্ত্রেরা
পোকারা গাছপালারা
যে যার
নিজের ভাষায়
কথা বলছে
এখন
আসলে লোকেরাই
সারা রাত জুড়ে
বিভিন্ন
সময়ে বিভিন্ন রকমের
অসহিষ্ণুতাকে
প্রকাশ ক'রে
যন্ত্র
পোকা আর গাছপালাদের
বিপর্যস্ত
ক'রে চলেছে অবিরাম
রক্ত
রক্ত
খুঁজছে
অনেকেই
রক্ত খুঁজছে
মন্দিরের
হাড়িকাঠে খবরের
কাগজের
অক্ষরে এল.ই.ডি
স্ক্রিনে
গোলাপঝাড়ের ভিতরে
এবং আরো
বেশ কিছু জায়গায়
এখন কারোর
স্মরণেও আসছে না একথা
যে আজ থেকে
বহু বছর আগে মহাদেবীর
মন্দিরের
পাশের যে নদী তার ঘাটের সিঁড়ির
ওপর ব'য়ে
চলা বলির রক্তরেখা ছোট্ট 'তাতা'
আর তার
দিদি স্বপ্নের মতো কুঁড়ির মতো হাত
দিয়ে মুছে
দিয়েছিল
ঘুম থেকে
জেগে উঠে স্বয়ং মহারাজাও
হাত
লাগিয়েছিলেন সেকাজে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন