সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

প্রণব বসুরায়



কবিতার কালিমাটি ১০১




শ্রীক্ষেত্র

হতেও পারে এখানে পড়েছিল একাধিক দাগ
তবু পর্চানুসারে এভূমি আমার।
শত্রুরা সবাই ঘুমে, এখনই সময়
ভেজা ন্যাকড়ায় তুলে ফেলা বেড়ালের মুখ
ফাটা বেলুনের টুকরো জড়ো করে ডাস্টবিনে--
আগাছা উপড়ে শাস্ত্রমতে বসিয়ে দিই
সজীব মুথা ঘাস
বিধিমতো সেচন দিয়ে আমি যাব ঘুমতে এবার

শ্রীক্ষেত্রে আমি বসাবো সর্ষের চারা
সূর্যমুখী, সে তো নিজেই আসবে


লীড নিউজ

লেত্তি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে লাট্টু
শান বাঁধানো মেঝে বা মাটিতে
ঘুরতে থাকে। এই ঘূর্ণন অব্যাহত রাখতে
জল-বিদ্যুতের সাহায্য চাই
সূর্য কৃপণ নয় তবে আকাশ মেঘলা--
এও সত্যি যে তাপ-বিদ্যুতের দূষণ সইতে পারে না
শীতের সবজি, ফল ও ফুল,
কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে প্রতিবাদ আসতে থাকে;
তাই, আমাকে জল-বিদ্যুতের সাহায্য চাইতেই হয়...
খুঁজতে হয় কোন ঝর্ণায় জলের চাপ বেশি
এটাও বিচার্য যে সেই চাপ নিরন্তর কিনা
নাকি তা যে কোন রমণীর মতো সুবাসের টোপ ফেলে
কিয়ৎ দূরেই হারিয়ে যায়
লাট্টু মানুষ নয়, হৃদয়হীন খেলনা মাত্র
বিনোদন পেতে হলে
সঠিক ঝর্ণার খোঁজ পেতেই হবে--
সংবাদপত্রে এটাই লীড নিউজ হোক


অজানা বৃত্তান্ত  

সাপ নিয়ে খেলা করো, নাহলে সবুজ বিষ
পাবে না কোথাও...
আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গেছে যা কিছু স্বাধীন
আমাদের মাঠে ও গিরিখাতে অস্বচ্ছ বাতাস...

তিনটি ভূজের সমন্বয়কেন্দ্রগুলি ক্রমশঃ তপ্ত হয়
দন্ড পরিবাহী বলে দূর থেকে টের পাই খুব--
এ কথা স্বীকারে কোন ভন্ডামী লাগে না

শেষ যে কী আছে, তাও তো অজানা!





1 টি মন্তব্য: