সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

জয়া ঘটক




কবিতার কালিমাটি ১০১

সিঁড়ি

এক এক করে উত্তরণের সিঁড়ি 
ভেঙ্গে নেমে আসি উচ্ছিষ্ট পতিত
নির্ধারিত জমিতে! দৃষ্টিহীনের,আলোর
প্রত্যাশা ত্রিশঙ্কুর মতো! গল্প গড়িয়ে 
যায়! হঠাৎ সমাপ্তির ঘন্টা বেজে ওঠে। 

আসলে, নতুন স্বপ্ন দেখা অপরাধ মাত্র। 
যে পায় সে পেয়ে যায়। বাকিরা হারিয়ে
যায়! পুড়ে পুড়ে ছাই হয় শুধু বিষণ্ন অঙ্গার।


নিদ্রাহীনের গান 

আজকাল ঘুম তার নিশীথ পরিকল্পনা সরিয়ে রেখেছে দূরে কোখাও। তাই মহাকাশ কাছে
আসে। সুনীল সমুদ্র দূরে আরও দূরে সরে যায়। রাত জাগে, আমিও জাগি। কানে বাজে...
ইয়ে মোহ মোহ কে ধাগে। তেরে উঙ্গুলিও পে যা উলঝে। কতটা হেঁটেছি আরও কতটা বাকি
এই হিসেবে অস্তিত্ব বিপন্ন বোধ করে। হিসেবে খুব কাঁচা, তাই উত্তরণের সিঁড়ি বেয়ে নেমে
আসি।

নানা ঘটনাবলির মধ্যে ঢুকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। রাত্রি জেগে প্রমাণ করি  স্মৃতির ভিতরের
কোলাহলের কথা। যাদের কথা ভাবি, তারা সব আজ মৃত। কেউ জাগতিক মোহ কাটিয়ে
চলে গেছে বহুদূরে। কেউ বেঁচেও স্মৃতিতে মৃত। সমস্ত রাতের পর সূর্যের আগমনে মুগ্ধতা
ফিরে আসে। আর আসে... ঘুম!

শুধু বালিশ জানে চোখের জলের গোপন কথা...


প্রেম

খাঁজে খাঁজে ভেসে উঠুক রক্তক্ষরণের ইতিহাস। 

২টি মন্তব্য: