কবিতার কালিমাটি ১০১ |
সে নারী
চেহারাকে ধুয়ে মুছে রাখি
যে মেয়েটি হেসে উঠল খিলখিল করে
তার যৌবন মুদ্রায় একটি মৌমাছি
ঘুরপাক খাচ্ছে।
সে নারী সূর্যের দিকে মুখ ফেরায়--
অনেক প্রসাধনী ছাপ তার মুখ ও
শরীরে ফুটে ওঠে
সে তখন ঢুলু চোখে তাকায়
সে তখন হাত বাড়ায়, সে প্রসারিত
হাতের মাঝে
সহস্র ভ্রমর লুটোপুটি খায়
সে খেলা দেখায় এক থেকে একাধিক
চমৎকারী রামধনুর,
আর অনায়াসে পোষ মানে ঘরের পাখিরাl
সময় ব্যবধানে
মিষ্টি জলের প্রত্যাশায় খুঁজে
খুঁজে সেই জলাশয় হারিয়ে ফেলেছি--
টিয়ার ঠোঁটে কিছু লাল টুকটুকে
লঙ্কার স্বাদ নিতে ইচ্ছে হচ্ছিল খুব।
তোমার ঘ্রাণে তুমি নেই, কিছু
ঘাম, প্রসাধন ও সময় ব্যবধান হয়ে
মন মজা গন্ধ রেখে গেছে।
চায়ের চুস্কিটুকু লেগে থাকে
বহুক্ষণ, তোমার ঠোঁটের সঙ্গে তার
মিল দিতে পারিনি। এই বর্তমান
সময়ে প্রেম অশরীরি হয়ে উঠছে।
আনজান কোন বিভ্রমে তুমি আমি ছেড়ে
রাখছি কিছু অভিলাষা।
মধ্যযামের নেশায় কিছু পানিয়ে
তোমার মুখ ছুঁই।
এক তাল অন্ধকার ছিঁড়ে ছিঁড়ে
কিছু আঁক রেখায়
আমি মন মত কিছু আঁচড় দিতেই পারি--
শান্তির রেখা, লাল পথ, বাউলের
একতারায় উতাল নারীরা
পাখার বাতাসের শব্দে গানের সুর
তুলতে চাইছে।
আশীর্বাদী হাত
আশীর্বাদী হাত আপাতত গুটিয়ে
নেওয়াই বুঝি শ্রেয়।
এখন একমাত্র খোলা আকাশই ভালো--
এখন শূন্যতা হাতড়ে বানিয়ে নিতে
পারি পরিকল্পিত
তোমার নাক মুখ চোখ, বারবার ভয়ে
তাকে
ছুঁয়ে দিতে দিতে, তোমাকে ছুঁয়ে
দেবার খেলায়
অনেকখানি সময় পাস করে দিতেই
পারি।
অপেক্ষা শেষ হলে একটা চিঠি লিখব
ভাবছি,
সেখানে না বলা কিছু কথায়
আপাতত বাষ্পে ধরে নেবো কিছু দুঃখকথা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন