সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

শ্রাবণী সিংহ



কবিতার কালিমাটি ১০১


সন্ধ্যার ঊনদৃশ্য থেকে
সন্ধ্যার ঊনদৃশ্য থেকে ছিটকে যায়  যাবতীয় সারকাজম
অন্ধকারে কিছু একটা ভেংচি কেটে যায়- বাদুড় বা চামচিকে হবে হয়তো,
তীব্র অসহায়ত্ব আসে জীবনে, আমরা তখন দল বেঁধে উপাসক হয়ে যাই
অপরাধ নেই বিশেষ,
শুধু পরিত্রাণের প্রার্থনা, লক্ষ কিউসেক
  গলন্ত মোমের আভায়
ক্ষমা
ক্ষমা
ক্ষমা
ঈশ্বরমন গলে না
আর্ত রোনাজারিতে...
তবু তাকে রাখতে হয় হৃদয়হীন অভ্যাসে,
অদৃশ্য হুমকি আছে

একটা পরিযায়ী ছবি
যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ জীবনের গর্ভে সৃষ্টি চলবেই ...
পায়রাজুটি  ছাদের আলসেতে,
দিগন্তজোড়া হাইওয়ে ও কৃষ্ণচূড়ার মিলনদৃশ্যে বাধ সাধে লেভেল ক্রশিং
আয়ত কাচের ওপারে সুদৃশ্য লাইলাক,
বনটিয়ের ঝাঁক
বন্ধ্যা পেয়ারাগাছটায় ফুল এসেছে
মানুষের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে প্রকৃতি সুস্বাস্থ্যে ঝলমল
এটাও পরিযায়ী ছবি
অনুভবের পরতে ধরা
 থাকবে অনেকদিন
বিকেল যেমন জানে একা দেউলের গায়ে গায়ে ঘোরে জনশ্রুতি।

সমকালীন
যে জীবন আটকে আছে সমকালীন তরজায়...
যাযাবরী বৃষ্টিদানার সাথে কি যেন তুক্ আছে বিকেলের-
অতীতের
  ভালোথাকাগুলো
বর্তমানে এসে ফুল ফোটায়
একটি মিশ্র দিনের হিসাব, অনুভূতি
সব মিলিয়ে
আর একটি সৌরকাল ঘোষণা
  
কালান্তরে
তবু একা বালিহাঁসের মত
বিচ্ছিন্ন দ্বীপে...
কোনো মিলিত উৎসবে নয়।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন