কবিতার কালিমাটি ১০০ |
দৃশ্যের ভিতর
একটা বাঁকজুড়ে কাশবন
আলোছায়া খেলে প্রেতের মতো
তারো পরে এক খন্ড আকাশ
কালোকালো মেঘ আকাশের দেয়ালে
মাথা ঠুকে
যেন এক বিরহী পুরুষ জল আর
শক্তির
তোলপাড় তুলে আগুন করে আগুন
পুষে।
পৃথিবীর গ্রাম থেকে মানুষ
দেখে তারে
দিনরাত বদলে নেয় চোখ,
আবারিত সবুজে ও শিশিরে।
রোদ ছুঁয়ে যায় কিশোরী ফ্রকের
ঝালর
একটা অস্ফুট গুনগুন
ছড়িয়ে থাকে।
এই সব দৃশ্যপট পালটে গেলে
গুনে গুনে সাতটা ডানায় কাটে
বিষণ্ণ একলা শালিক ।
প্রবর্তনার চিরকুট ভাজ করে
ঢাকাই শাড়ি
নিঃশব্দে একটি অপেক্ষা যতি
চিহ্ন নিয়ে
দাঁড়ায় আঙিনায়।
অনভ্যাসে ভুলে
গেছি
কিছু সন্তাপ মুছে নিও হে
দ্যোতনা আকাশ
কিছু দাগ পালিত্য সময় অব্দি
যতনে স্পর্শ বুলাই।
বড় অসময়ে মনে পড়ে মইষাল
ভাটিয়ালী
তার সাথে খুলে যায় লুকোনো
উপত্যকা
এখন কোথা পাই মধুজল, নোনা
ঠোট?
এই ঘন আবাসিক দ্রোহে
কোন সর্বনাশা লগ্ন আসে নাই বলে
অনভ্যাসে ভুলে গেছি প্রেম ও
সমর্পণের দিকে হেঁটে যাওয়া ।
রুগ্নতায়-১
রাত্রিদিন চক্রাকারে
একটা অনিয়মের বুঝাপড়া শাসিয়ে
যায়।
আড়ালের রক্তচক্ষু আমাদের
বৃত্ত ঘিরে
তার গোংড়ানি শুনি।
সাহসের ভিত নিয়তই আঁকড়ে থাকো
অসহায় মিনতি নিয়ে উৎকণ্ঠা
বাজে।
এই দুর্দিন একলা পোহাবো বলে
ব্যথারা কুঁড়ে ফুঁড়ে
বিচ্ছিন্ন করে যাবে বলে
বিস্মৃতির সজল মর্ম কারো
দিকে মেলে দিব না বলে -
আরো কিছুকাল মুমুক্ষু আত্মার
আয়ু নিয়ে
ভালবাসি বলে যেতে চাই।
রুগ্নতায়- ২
আমাদের সুগন্ধি নিয়ে উড়ে
গেছে
দূর পাহাড়ের শ্বাস।
ফেরার পথ হারিয়ে পরিযায়ী পাখিরা
স্মৃতির মর্মর ডানায় মেখে
উড়ে চলে
পৃথিবীর পথ ঝরা পালকের মায়া
নিয়ে গল্প
করে, পৃথিবীর ঘাসে তার নীল
কস্ট ঝরে।
মানুষের দেহ ধ'রে জন্মের পর
থেকে
পাড়ি দিতে হয় পৃথিবীর সাঁকো।
হয়তো কাছাকাছি একদিন
চলে যাব।
এতদিন সাজিয়েছি যারে
আয়নায়, প্রিয় মানুষের চোখে
তারে আমি রেখে যাব এ ধুলির
সংসারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন