কবিতার কালিমাটি ১০০ |
কবিতার মতো
ডুবে
আছি অনিঃশেষ জলে নাকি আমার ভেতর অতল জলের বাস!
বোঝার
আগে মাছেদের কানকোয় বিচূর্ণ বর্ণমালা বিক্ষত শ্রান্ত
মাথা
রেখে তোর হাতের পাতায় চোখ বুজেছে... আহা
ঘুমোলে ওদের
কবিতা
মনে হয়!
ক্লান্ত
একটা আস্ত রাত পাশে শুয়ে ঘুমোচ্ছে নিঃঝুম
আমি
জেগে দুইঘর সোজা আর একঘর উল্টিয়ে বুনছি ওম্
দুধের
সরের মতো ঘন,
টের
পাচ্ছি রাতেরাও লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে আর ফিরতে চায়
কাঙ্খিত
জঠরে, মা’কে মনে পড়ে, মায়ের মতো কোনো কোটর অন্তত
খুঁজে
ফেরে সারাদিন, সারাটাদিন
পথের মতো হাঁটে;
টের
পাচ্ছি হাঁটছে এখনো ভীষণ গাঢ় পায়ে!
পুনশ্চ
মাথা চোখ নিশ্বাস চুম্বন ছিঁড়ে নেওয়ার পরেও
সদ্যজাত আঙুলের মতো পাতা জন্মাবে আর
শিরায় টান দিয়ে কেঁদে উঠবে, স্তন্যপায়ী দাবীতে
ডুকরে উঠে হাতড়াবে চরাচর তন্নতন্ন করে
এপাড়া ওপাড়া খুঁড়ে নিংড়ে এনে দেবে ঠিক
সূর্যধোয়া প্রাণ।
রক্তিম
মেঠো ইঁদুর হবো, সাধ হয়েছে
তীব্র শস্যের গন্ধ খুঁটে খেতে খেতে
জাতিস্মরের মতো একটা পড়ন্ত বিকেলে কামড় বসিয়ে
রক্ত মাখব...
লালরং প্রিয় তোমার। জানি।
সম্ভব
ছুঁয়ে দেখো
বাসন্তী চাঁদের তলায় শুয়ে আছি,
ক্ষতচিহ্নে হাত রাখো, আবির রাখো লাল
বিপ্লব রাখো স্লোগানে স্লোগানে প্রত্যয়
ছুঁয়ে দেখো, আমি দিন বদলের মতো জেগে উঠতে পারি।
খুব ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনঅসাধারণ ।রূপকল্প আশ্চর্য সুন্দর ।
উত্তরমুছুন