কবিতার কালিমাটি ১০০ |
গালিব ঠাকুরের কি-বোর্ড থেকে
রায় রোম পুড়ছে
(১)
বাঁশিটা ঘোর কালো এখন। নাকি বাঁশিটার দ্বিধা। বেহালায় আঁচ
লাগেনি।
বাঁশি মুখে থাকে। বাঁশিই চুমু...
(২)
চুমু বিখ্যাত এখন। তাই নিষিদ্ধ। বাজার কাল খুললেই ওয়াল
স্ট্রিটে
আমি তোমাকে খাবো। তুমি আমাকে...
(৩)
কিছু পুড়েছে আজ, কাল, পরশু?
-না
-এই কালো দাগটা তাহলে?
-ওটা জন্মদাগ
শহর বলল। দেশ বলল। আমি বললাম।
(৪)
নীরো নেই, আগুন আছে, জ্বলছে
নীরো নেই, বেহালাটা কেউ না কেউ বাজিয়ে যাচ্ছে, যাচ্ছেই
সেতু ভাঙার পরে
(১)
এ বলল ও দায়ি
ও বলল এ দায়ি
কিছু বোকা লোক জোড়া লাগাবার কথা ভাবল
(২)
ভাঙার আগে
গরু আর শুয়োর পারাপার করতো
কিছু বোকা সূর্যাস্ত দেখতো
ভাঙার পরে
গরু, শুয়োর আর মানুষ আটকে দুদিকেই
চালাক ছোকরারা গরু গুনছে, শুয়োর গুনছে আর
খুব চাপা গলায় বলাবলি করছে
গরু দায়ি শুয়োর দায়ি...
(৩)
গরুর কথা, শুয়োরের কথা আগেও হত
পরেও হচ্ছে
পিঠের ওপর বসে থাকা শালিখটাকে শিং দুলিয়ে মহিষ বলল
আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি?
(৪)
‘দোষ কারো নয়কো মা’
আগে
পরে
যেমন বাজতো, বাজছে
প্যান্টুলুন খ’সে যাওয়া ছেলেটা ভাঙা ব্রিজের তলায় একা
তার হাতের মুঠোয়....
দোষ কারো নয় রে মাছ, গাইছে অন্ধকারে মিশে যাওয়া ছেলেটা...
(৫)
সে রোজ মেয়েটাকে গোলাপ দিত
সঙ্গে কাঁটাও
মেয়েটা দেশ,
দ্রোহী ছেলেটা...
(৬)
কবর বলল, শ্মশান শুনলো
শ্মশান বলল, কবর শুনলো
রাত বয়ে গেল
চাঁদ ছুঁয়ে গেল
দেহ নামছে দেহ পুড়ছে
কবর বলল, লাগছে
শ্মশান বলল, পুড়ে যাচ্ছি...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন