রিংটোন
যে দিকেই কান পাতি
ভেসে আসে অজানা রিংটোন
স্তব্ধতা ভেঙে দিয়ে সুর বয়
ক্রমে আত্মীয়তা জেগে ওঠে,
মনের গোপন কোণে লালিত
ভালবাসা বোধের মত
শ্রুত হয় রিংটোনের ভিন্নতা!
দূরে গির্জার মাথায় ঘন্টা বাজে
পাখিরা উড়ে যায় পথ-
পালকের পতন দেখে
বালিকাটি হেসে ওঠে,
সঞ্চিত হয় খাতার পাতায়
আবারও আচম্বিতে বেজে ওঠে
কিছু পরিচিত ও অপরিচিতের
একটানা রিংটোন।
|
অপার্থিব
যে জীবন একদিন পাখির পালকে ছিল লীন
আমি তার জানি কিছু, কিছুটা আঁকাবাঁকা
রক্তিম নেশায় চুর পুরুষের মত
সীমিত সুখের আকাঙ্ক্ষায় সাদা ওড়না জড়িয়ে
ঝাঁপিয়ে নামা ঝরনার অভিমান
সূচক হয়েছিল চাহিদার শীর্ষ বিন্দু ছুঁয়ে।
তফাতে যেতে গিয়ে ঝুঁকে পড়ে বৃক্ষশাখাটি
খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে আসে একমুঠো
মায়াবী ভালবাসা, ঘুমন্ত পরীর ডানায় লেখা
চিরচেনা কিছু স্বরলিপি,
দোতরায় সুর অনুরণিত হয় অজানা বোধ
সংগোপেন ললিত রাগিণী!
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন