মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২০

পৃথা রায়চৌধুরী



কবিতার কালিমাটি



অসুখ


সুচরিতাসু,
তোমার দিকে আজও তাকাই মুগ্ধচোখে
তোমার অসুখে ঝাঁঝরা শরীর
খুবলে খেয়েছে স্টেরিলাইজ্‌ড অস্ত্র
তুমি কুরূপা অথবা সুরূপা বুঝি না
তোমাকে দেখি নির্নিমেষ
বিশেষ অন্তর্বাসে ক্ষত ঢেকে রাখো,
অপ্রয়োজনে।
তোমাকে দেখলেই মনে হয় পরিপূর্ণ তুমি
রোগহীন, পূর্ণদেহ তোমার;
অসুখের কথা বড়ো নয়,
ক্রমাগত ঠেসে ঠেসে পুরে ফেলা ওষুধ—
নিশ্চিন্ত মারক।


মরীয়া  


সুচরিতাসু,
পাতা ভরিয়েছি তোমার নামের, পড়ে নিও।
তেমাথার মোড় ধরে এগিয়ে যাবো
শেকল পেরিয়ে প্রাতঃভ্রমণের চৌহদ্দি বরাবর
তোমার জাত তুলে খিস্তি দিয়ে বলেছি,
শালী বেইমান!
পথ বদল করবো ভেবেছি,
শুনেছি আত্মহত্যা মহাপাপ…
তোমাকে প্রেমিকা পেয়ে হারাবার পরেও
বাঁচা যায়, বলো?
পুণ্যসলিলা গঙ্গায় আত্মাহুতি পাপ না পুণ্য,
যদি একটিবার বুঝিয়ে যেতে!


অটোপ্‌সি


কেস ক্লোজ্‌ড।
সাঁতারু আত্মহত্যা করেছে গঙ্গায়,
স্ক্যাল্পেল মিথ্যে বলেনি,
রিবশিয়ার্সের মুখে এখনও মটমট
সাঁতারু সেই ডুবেই মরেছে।
তার প্রেমিকা একখানা চোখেই দু’দীঘি কেঁদেছে
একখানা হাতেই বুক চাপড়ে চেঁচিয়েছে
একটাই ভরন্ত বুক তার, ম্যাসটেকটমি জানা যায়।
সাঁতারু তলিয়ে ভেসে উঠেছে তার বোকা বোকা মৃতদেহ
প্রেমিকা নাকি চেঁচিয়েছিল, শালা বেইমান!

৫টি মন্তব্য: