মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২০

পার্থ সরকার



কবিতার কালিমাটি



কথা দিয়েছে বিনা পয়সার উচ্ছেদ  

       
কথা দিয়েছে বিনা পয়সার উচ্ছেদ
শূন্য করে দেবে
কুটীর
ফুল
ভুল
সমস্ত ঘর এক পথিকের
আর এক দিন তৃষ্ণার্ত তোমার
আর কোথাও নেই জলসত্র...

শুধু প্রখর মৃগীদিনে
একাই রাজা জলপাই পোশাক

ক্রমেই যায় ঝলসে  দিন ছাপোষা। 


ঝড়ের প্রথম কথায়  
    

তুমিই থেকো প্রথম
ঝড়ের প্রথম কথায়
মৈত্রীও থাকবে,
সহচরীর আগুন হাতে

কঙ্কাল পাওয়া গেছে জনগণনায়

এ যাত্রাতেও বোধহয় সফল হবে না ঝড়

নির্লিপ্ত সাক্ষাৎ
কবেকার দণ্ডী কেটে পথ আগলে আছে ফসিল

তবু, আরো একটা ঝড়
কিম্বা ঝড়ের প্রথম ভাগ
হৃদয় পাততেই পারি এই আশায়
কি বলো-
আর যদি হয়,
তবে,
ঝড়ের প্রথম কথায়
তুমিই না থেকো
মৈত্রীও থাকবে
সহচরীর স্বপ্ন হাতে।


দূরেই বিষ ষড়যন্ত্র মেরে ফেলার    

 
দূরেই বিষ ষড়যন্ত্র মেরে ফেলার  
অহর্নিশ উঠে আসে সে কথা নোটবুকে
খালি সূর্যাস্ত কিম্বা পশ্চিমে সূর্যোদয়ে

তস্য গলি
তার বিন্দুতে নুইয়ে পড়ে আছে  সবুজ এক ডাল
ডিঙোলেই বিপদ জেনেও
দুঃখী আলপথে কাঠের পা
তবে কি কেউ কি জানায়
রণপা পড়ে
যুদ্ধে যাওয়ার কথা
লালফিতের সরল মুখে?

চুপ বোতলে নীল জল – দুঃখ কারোর একার নয়–
জানে সে কথা শহর
যখন তার ভূমিতটে শতাব্দীর মড়ক  
যখন তার বেলাশেষের গানে একলা চাঁদ
ল্যাম্পপোস্টের ঝুলে থাকা নক্ষত্রের কিংকর্তব্যবিমুঢ় চোখে দেখে
ভোরের সুস্পষ্ট জল - কৃষিধৌত পুণ্যতিথি 
তবে কি সামনের মৃত্যুতে আরো এক নবীন পাঠশালা?
যদি বেঁচে যাই, কথা দিতে পারি ভাইরাস
নতুবা...
আর অন্য কোন সরঞ্জাম নেই মানুষের তুচ্ছতায় মানুষের মৃত্যু আটকানোর।



তবু, একাকী চিল...   

  
তবু, একাকী চিল, অক্লান্ত সরণ –
এক ধীর, শান্ত , গম্ভীর পদার্পণ 
ক্রমেই নমনীয় বিকট সৌন্দর্য প্রযুক্তির
সার বুঝেছে তবে...?
সময় দাও কিঞ্চিৎ বিকট অহংকারে
এই তো সবে সেচের উলটো পুরাণের
সময় লাগে
বস্তুতঃ সময় লাগে অনেক
অবক্ষয়ে ধাতুর ধাতস্থ হতে
মানুষের লালারসে...

বস্তুতঃ এখনো অনেক কামনা, বাসনা
তবু, এখনো শাল-প্রাংশুদাড়িবুড়ো এখনো কামনায়, বাসনায়
‘...বঞ্চিতে করে বাঁচালে মোরে’ 
আর তাতে
বঞ্চিত হোক প্রত্যেকে পরমানন্দে 
বেঁচে থাকার সবুজ উঠোনে।










কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন