কবিতার কালিমাটি |
ব্যক্তিগত – ১০৮
বিছানা এবং
সাবান, -
সকাল থেকে কানামাছি
খেলে। কালোজাম –
তার পেটের মধ্যে
বেণীবাঁধা একজন
প্রজাপতি। গালের
তিল নাকি কখনো
একা থাকে না।
শিশি ভাঙার
শব্দ নিজেকে পারফিউমে মুড়ে,
দাঁড়িয়ে আছে
রাস্তার পাশে।
পেনড্রাইভ,
পুরনো কুয়ো এবং গার্লফ্রেন্ড, -
এখনো কি আস্তে
চলে যায়?
হারমোনিয়ামের
রিড চেপে গাইছে গাছেরা,
যারা সকালবেলা
মানুষের মৃত্যু খেয়ে ফেলে।
আধগলা জলে ডুবে
থাকা অন্ধকার বাড়ি
খেয়ে ফেলে।
ব্যক্তিগত – ১০৯
লাবণ্য চলার
শব্দ, কারা যেন শুনতে পায়।
পুরনো তোরঙ্গ
খুলে নববর্ষকে
তুমি ফুসলে
নিয়ে যেতে চাও আলো-হাভেলিতে।
গুনে গুনে ফেরত
দিলে
পাখিদের পাল্টে
যাওয়া রং।
জামদানি শাড়ির
এলোচুল না ফোটা আলোয়
বৈতরণী হয়।
পৃথিবীর যে পাশ
দিয়েই দেখো
না কেন, ঝরাপাতায়
শোয়ানো চোখগুলো
ঠিক জেগে উঠবে
দশমীর রাতে।
এ শহর আজ কথা
না বলা প্রিয় রোববার।
জেগে থাকা পাখিরা
তবুও
জল হয়ে উড়ে
যেতে পারে, দশমীর রাতে।
ব্যক্তিগত – ১১০
পরিধির সামান্য
বাইরে ধূপছায়া।
অনেক চলে যাওয়ার
শীতকাল,
কখনো জানালা
কখনো বা নয়ানজুলি
হয়। দূরে দুধ
পোড়ার গন্ধ।
আমি তার ভুল
নোটেশন শুনেছি।
এই কলোনি কোনওদিন
বৃষ্টিভেজা
ট্রেনে উঠেছিল
কিনা জানি না!
কেউ ভালোবাসার
গান ছুপিয়ে দিলে,
দূর গ্রামের
মানুষকেও কেমন
চেনা মনে হয়।
হারিয়ে যাওয়া
আঙুল ঠোঁটে নিয়ে
উড়ে এলো দুর্গা
টুনটুনি। বিকেলবেলা।
আমার হারিয়ে
যাওয়া ছায়া নিয়ে উড়ে এলো।
অসাধারণ। ধীমানের কবিতার আমি খুব প্রাচীন পাঠক। এবং প্রতিবারই ধীমান পড়ার পর আমার প্রেম পায়। এবারেও পেলো। এই লকডাউন সন্ত্রাসের মধ্যেও।
উত্তরমুছুন