মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২০

ইন্দ্রাণী সরকার



কবিতার কালিমাটি



অভিন্ন নীরবতা

রূপের চারিদিক ঘিরে শুধু গাঢ় বিষণ্নতা,
যেখানে একদিন হাসি আর গানের সুর
নিবিড়ে একান্ত এক মহিমায় ভেসে যেত
সেখানে যেন শুধু মৃত্যুর অভিন্ন নীরবতা।
সুরে আর লহরীতে কোন প্রাণশব্দ নেই
অস্থির বিবেকের দংশনে মৃত মানুষ
হয়ত: দেখা পাবে বলে রাতের আঁধারে
সুদূর আকাশে একান্ত চেয়ে বসে থাকা।
এ সবই মনের কল্পনা, যা প্রকাশে কোনো
দ্বিধা বা বিরক্তি নেই, শুধু শান্তির খোঁজে
মানুষ হেঁটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে অন্য,
তবু চিন্তার শেষ বলে যেন আজ কিছু নেই।


অসমাপ্ত কাব্য

একটা বিশাল অ্যাকুরিয়ামে রঙিন মাছেদের চলাফেরা
ঘাসে লেগে আছে ভেজা শিশিরের দাগ
তুমি কি ভোরে ওঠো আমার মতো?
দূরে পেরেক পোঁতার শব্দ ক্রমশ:
হালকা হয়ে মিলিয়ে আসছে।

ক্রীতদাস প্রথায় যে সমস্ত কাচের চুড়িগুলো খোলা হাটে
একসময় বিক্রি হত, সেগুলো এখন ভেঙেচুরে
এদিক ওদিক ছড়িযে ছিটিয়ে পড়ে আছে
বিষণ্ণ কথারা নিঃসঙ্গ ডানা মেলে যায়
ফিকে হয়ে অধরা পথের প্রান্তে।
 
নির্জন স্বরলিপি কে যেন বিষণ্ণ বাতাসে আদরে ভরে দেয়
আরব্য রজনীর কাব্য, পাখিদের ঠোঁটে লেগে থাকা
সুরের বিচিত্র লহরায়, রোজ গানেই কলি হয়ে
শুকনো পাতার মত ছড়িয়ে পড়ে, ঘুমের
শেষ প্রান্তে অসমাপ্ত কাব্য হয়ে।


রংবাহারি ফুলের মেলা

বাগানের ফুলটি জানে
ফুটলে ভালোবাসা হয়

জুঁইফুলের গন্ধ মেঝে
অমৃতপাত্রে হাত রাখি।

বাহারি পাতার ঝাড়ে
মৃদু কম্পন খেলে যায়

দুটো পদ্মের পাপড়ি
খসে পড়ে মৃদু ঠোঁটে।

গভীর গন্ধে ঘন শ্বাস
হাতের পাতায় মুখটি

গাল থেকে ঝরে পড়ে
চুয়া চন্দন আর আবীর।












1 টি মন্তব্য: