কালিমাটির ঝুরোগল্প |
ঘুমপাড়ানি গান
শব্দহীনতাটাকে
অভ্যাস করার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে একরকম ভাবে। সেই সব অভ্যেসই এক এক সময়
প্রকাশিত হচ্ছে বিলাসিতার। বেমালুম সে সব নিস্তব্ধে কবর খুঁড়ছে। কবর খুঁড়ছে আর
ধামাচাপা দিয়ে যাচ্ছে প্রতি বাক্যের শেষের পিঠ চাপড়ানো। একদিন বিকেল হওয়ার মুখে
কিছু কিছু বেওয়ারিশ লাশের মত কবিতা পড়েছিল। তোয়ালে মুড়ে ধুলো ঝেড়ে সেগুলো
জায়গা পেয়েছিল ভালোবাসা ভেবে। তারপর সেই শুরু।
স্বপ্ন-র যদি কোনও প্রতিশব্দ থেকে থাকে, তবে তাঁর ছোঁয়া
পাওয়া হয়ে গেছিল হঠাৎ। এর ঠিক
পরেই কোনও কাল অথবা পরশুর মাঝে, সাদা কালো খোপের মত কাগজের
প্লেন নিয়ে এসেছিল সমীকরণ।
তখন থেকেই সাজিয়ে গুছিয়ে হেয়াঁলি বলা শুরু।
দেওয়াল ঘড়ির পেছনে থাকা টিকটিকিগুলোর মতই তুড়ি মেরে
অবকাশ যাপন শুরু।
অবকাশ...
কেও একজন ভুল করে উচ্চারণ করেছিল 'অবসাদ',
ব্যাস্... ওমনি হুলুস্হুলু শুরু!
ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে বারান্দার শেষ রেলিংটা যখন বুঝলো,
দু-কলম কালি ছোঁড়াছুঁড়ি ছাড়া আর কিছুই হওয়ার নয়, ওমনি তখন চিনিয়ে দিল পাশের বাড়ির
মাস মাইনে। গুটিয়ে এল যাবতীয় সাজ সরঞ্জাম।
একদিন বড় হলে পৃথিবী কিনে নেব...
আরাম দেয় মাঝে মাঝে, ভাবলে...
ভাবলে তোলপাড় হয়, কারণ, এই পৃথিবীই একদিন লেখার কথা
হয়েছিল।
লেখার কথা ছিল ফাঁকা কলেজের করিডর...
ক্লাসরুমের ক্ষয়ে যাওয়া চক্-পেনসিল।
লেখার কথা ছিল...
হবে... একদিন সব হবে হয়তো,
শহরটা একদিন আবার সানস্ ক্রিম মাখতে ভুলে যাবে। মিছিল
হবে প্রতিবাদের, খিদের নয়...
ছাদের আড়ালে লুকিয়ে থাকবে দূরের ধোঁয়া ওঠা 'লাল চোখ'। সাইরেন হয়ে বাজবে ঘুমপাড়ানি গান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন