শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২০

ইন্দ্রাণী সরকার


অভিযান

ঘুরে ফিরে একই ভাবনার আড়ালে আটকে থাকা বিভিন্ন আঙ্গিকে
বারে বারে আত্মা হয় জর্জরিত, 
একই গোলোকে ঘুরতে থাকে মন 
যেন এ ছাড়া ভাবার অন্য কোনো বিষয় নেই 

মুক্তি নেই, মুক্তি নেই 
সমস্যার হয় না সমাধান 
উল্টে মানুষদের যাই যাই প্রাণ 
একই ক্ষেপণাস্ত্রে কোনোদিন মানবজাতির 
সুরাহা হয়েছিল কি?

বরং দ্যাখো কেমন ওই ধূম্রজালে 
আচ্ছাদিত আকাশ,
শীতের কুয়াশা ছুঁয়েছে ভোর।
নিঃসঙ্গ চরাচর জেগে উঠছে ধীরে 
প্রাণ বয় কারো কোমল ছোঁয়ায় 
আঁধারবলয় থেকে স্বর্ণবলয়।

কর্মকোলাহল অন্তে দিন যায় অন্য গোলার্ধে 
এ গোলার্ধে ম্লান বিকেলে শেষ রোদের আলো 
ছুঁয়ে যায় শরীর।
পড়ন্ত রোদের মায়ায় বিগত সময়ের 
মুগ্ধ সব অভিযানের গল্প রয়েছে তাও বাকি।


সুমেরু শীর্ষ

যখন পালকের ছায়া থাকে না 
তখন অরণ্য হাতছানি দেয় অথবা সুমেরু শীর্ষ
সুচারু প্রয়োগে তাকে করতলে রাখি 
করতলের আওতায় রাখাই প্রধান লক্ষ্য 
হাতের কলম তখন ফুল অথবা তীর 
আদরের নাম আদরের ভঙ্গী অজস্র চুমু 
হাতের পাতায় লিখে নি আবেশিত আবেশে 
কখনো মেঘ কখনো আঁধার ভেবে ভেবে 
গচ্ছিত সম্পর্ককে রক্তাক্ত খুঁচিয়ে অস্তিত্ব রাখি 
পরে ভাবি পালক না কি গ্রাহক ছিলাম?


চারুকলা

কবি তোমার কি সুনিপুণ চারুকলা!
কবিতার গা গড়িয়ে খেজুরের রসের
মত খাজুরাহো গড়িয়ে ঝরে যায়
তোমার কলাবাগানে হনুমান নাচে 
বাতাবী লেবুটা গৃহিনীর আঁচলে 
বেঁধে চালকলার পুরুত হও।
উপবীত দর্শন দেয় পাঞ্জাবির ফাঁকে।
তৎপর গৃহিণীকে ফাঁকি দিয়ে 
মুভি দেখার ছলে ধারাপাত পড়ো।
পাশ দিয়ে ত্রিবেণী আলতা পা ধুতে থাকে।


পাকাচুল

বুড়ির পাকাচুলের মত তার স্মৃতি ধেয়ে আসে 
আগে কায়া এসে কখনো কখনো মন খারাপ 
কথাগুলো শুনে শুনে দু:খপ্রকাশ করে যেত,
বহু পরিচিত গানগুলি এসে পুনরায় ছুঁয়ে যেত,
একদিন দেখা গেল তাও নেই, কিছুই নেই।
মায়াবী মীরা নাটুকে স্বভাবে তাকে টেনে নিয়েছে।
এখানে আমরা দেখি গোলাপের ছাই, প্রেতের চোখ
অথবা একরাশ ভালোবাসায় মোড়া পাকা চুল।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন