হাঁটতে
হাঁটতে
কামের পথে হাঁটতে হাঁটতে প্রেম ফুরিয়ে
গেল
কিন্তু তৃষ্ণা মিটল কই?
সামনে অন্ধকার যেন গৃহত্যাগী সন্ন্যাসী
দীক্ষা দেবে আমাকে তাদের মতন!
এখন আর কোনও ভাষা বুঝতে পারি না
কোনও সংকেতও ;
বিমূঢ় সময় কাজল পরে বসে থাকে
অবুঝ কুমারীর মতো।
হাঁটতে হাঁটতে আপেল বাগান,
কমলালেবুর বন, হরিতকি বনের টিয়া
আর সংস্কৃতি পাড়ার রাজহাঁস
পেরিয়ে চলে যাই…
তাদের গোলাপি হলুদ রং
চিকন ডানা
সুরেলা কণ্ঠস্বর
আর স্বপ্নঘ্রাণের অনবদ্য জাগরণ
আমাকে রোজ যুবক করে তোলে
বুকের ভেতরে খুঁজতে থাকি লুকোনো বাঁশিটি!
আমার কষ্টের আলো ঠিক জ্বলবে
জ্বলবেই
কারও দরজায় গিয়ে ডাকব না
মেঘের আরশিতে মুখ দেখব
বৃষ্টির জলে ধুয়ে নেবো শরীরের নুন
শিশির ভেজা শীতে
কিছু অতীতের ওম খুঁজে দেবো
হৃদয় কি হাসবে না?
হৃদয় কি ঘুমোবে না?
শূন্য করতলে নির্মোহ বিষাদ
কখনও কি গোলাপি হবে না?
কথাগুলি নীরবতাগুলি
কথাগুলি নীরবতাগুলি
আজ তার উৎসুক অঞ্জলি
আস্ফালনের মেঘ
বৃষ্টির ভাষাও বোঝেনি
দ্রুত রাত গভীর কোনও হন্তারকের হাতে
আত্মসমর্পণ করেছে
জ্যোৎস্না আজ আসেনি উঠোনে
সব বিপ্লবের ঘুম আততায়ী নির্ঘুমের
নিকটে
অন্তহীন
চলে গেছে
আমাদের বেঁচে থাকার অর্থহীন কিছুটা
সময়
নীরব ভিক্ষাজীবীর প্রসন্নতায়
বাঁচে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন