শেষ দু’লাইনে যা নেই
পাশ দিয়ে যাবার
সময় ক্লোরোফর্মের গাড়ি জানিয়েছে
তারা বাজনা
শুনেছে, এগারো নম্বরে বারবার ফোন এসেছে।
মায়েস্ত্রোর
কাছে এখনি রিপোর্ট পাঠানো দরকার।
স্রেফ জানলা
দিয়ে উঁকি দিয়েই বোঝা যাবে এই ভাস্কর্যকে
সব কিছু এত
সহজ নাও হতে পারে।
বালিঘড়ি নেই
বলে রাতের মরুভূমিতে কোনো উট কোনোদিনই
নিজের মৃত্যুযন্ত্রণা
লিখে রাখে না, মায়েস্ত্রো।
সূর্য অথবা চাবি
মোটা পেরেকগাঁথা
আঙুলগুলো নিশ্চয়ই সাদা হয়ে যায়নি এরমধ্যে।
মৃত্যুর দু’ঘন্টা
আগে চশমার পাওয়ার বদলাতে যায় না কেউ।
সূর্য আসলে
ঈশ্বরের চুরুট, রোজ বিকেলে নিভে যাওয়াই যার নিয়তি।
অ্যাসিড লাগানোর
পর চাবিগুলো যে উচ্চতায় পৌঁছেছে ভাবা যায় না।
জাল ও মাছি
যদি দর্জির
মতো বসতে না চাও
তাহলে ভ্রুণের মতো তোমাকে বসতে হবে এই
চেয়ারে।
সাতফুট লম্বা
মাফলার গলায় ঝুলিয়েও
আত্মহত্যার কথা ভাবছ না – তাজ্জব!
যতক্ষণ কাঠ
লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আগুনের সাথে
কানে অস্বস্তি জাগানো এই চড়চড় শব্দ থাকবে।
নকল মাছিধরা
জাল আর নকল মাছি
মুগ্ধ চোখে পরস্পরের দিকে তাকিয়ে।
টাইয়েসিয়াস
যে কারণে কেউ
সন্ত্রস্ত বোধ করে টিকটিকির ছায়ায়
সে কারণেই অন্য
কেউ অন্য কোনোখানে
এড়িয়ে যাচ্ছে উড়োজাহাজদের
আর একজন তিনশো
বছরের বুড়ো বিদ্রুপ নিয়ে তাকিয়ে আছে
দু’জনের অবগুণ্ঠিত শূন্যতার
দিকে
একজন অর্ধেক
বিড়াল যেভাবে সারাদিন একমনে
অর্ধেক দুধ মেশানো চিনি খেয়ে যায়
বারবার পড়তে হয়
উত্তরমুছুনঝাক্কাস কবিতা। ঠিক মাঝরাতের বিমানবন্দর আড়মোড়া ভাঙছে তো ভাঙছে।
উত্তরমুছুন