কাটা ঘুড়ি কিংবা ফানুস
সেই ছোটোবেলা থেকে খুব জানতে
ইচ্ছে করে
কেটে যাওয়া ঘুড়ি শেষে কতদূর যেতে পারে
ঘাড় উঁচিয়ে দেখি, উড়ে যায় উড়ে যায়
টাল খেতে খেতে, বাতাসে ভাসতে ভাসতে
ক্রমশ ছোটো হয়ে দৃষ্টিসীমা অতিক্রম করে।
যেন এক অন্য দেশে অন্য মানুষের কাছে চলে যায়।
ইদানিং ফানুস ওড়াই, সেও একই অনুভূতি
কেটে যাওয়া ঘুড়ি শেষে কতদূর যেতে পারে
ঘাড় উঁচিয়ে দেখি, উড়ে যায় উড়ে যায়
টাল খেতে খেতে, বাতাসে ভাসতে ভাসতে
ক্রমশ ছোটো হয়ে দৃষ্টিসীমা অতিক্রম করে।
যেন এক অন্য দেশে অন্য মানুষের কাছে চলে যায়।
ইদানিং ফানুস ওড়াই, সেও একই অনুভূতি
আগুন ছোটো হতে হতে দূরে সরে
যায়
মনে হয় কত দূর! আমিও সাথে যেতে পারিনা কেন?
মনে হয় কত দূর! আমিও সাথে যেতে পারিনা কেন?
কাটা ঘুড়ি, উড়ে যাওয়া ফানুস
ফেরে না কোনোদিন
অন্য কোনো দেশে আধার কার্ডে নাম ওঠে
ঠিকানা-সাকিন লেখা হয় অচেনা বাড়ির
সেখানেও পুঁইমাচা, রাঙচিতার বেড়া, সন্ধ্যামালতী
গুগুল ক্লাউড থেকে মুছে যায় পরিচিত নাম।
অন্য কোনো দেশে আধার কার্ডে নাম ওঠে
ঠিকানা-সাকিন লেখা হয় অচেনা বাড়ির
সেখানেও পুঁইমাচা, রাঙচিতার বেড়া, সন্ধ্যামালতী
গুগুল ক্লাউড থেকে মুছে যায় পরিচিত নাম।
রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ গান শেখাতে আসেন
আমার পাড়ায়
প্রাচীন ক্ষয়াটে সাইকেল, খোলা চেন থেকে
কালি লাগে তার বাদামী পাজামায়, কালো ছোপ
কাঁধের রংচটা ঝোলা ব্যাগে কবিতা ও গান,
ছয় নম্বর লাইন টানা খাতায় গোটা গোটা অক্ষরে লেখা।
তার কাছে পাড়ার মেয়েরা শিখে নেয় প্রচলিত সুর
যেটুকু জীবনে লাগে, সবাই স্বীকার করে গুণী মানুষ,
যৌবনে যত্ন পেলে কেউকেটা হতেন একদিন।
স্বরচিত গান গেয়ে পাড়ার ফাংশনে কতবার
হাততালি পেয়েছেন তুমুল, উত্তাল; তবু রবীন্দ্রনাথ
মনে মনে কষ্ট পান, কত কী করার ছিলো, হল না কিছুই!
প্রাচীন ক্ষয়াটে সাইকেল, খোলা চেন থেকে
কালি লাগে তার বাদামী পাজামায়, কালো ছোপ
কাঁধের রংচটা ঝোলা ব্যাগে কবিতা ও গান,
ছয় নম্বর লাইন টানা খাতায় গোটা গোটা অক্ষরে লেখা।
তার কাছে পাড়ার মেয়েরা শিখে নেয় প্রচলিত সুর
যেটুকু জীবনে লাগে, সবাই স্বীকার করে গুণী মানুষ,
যৌবনে যত্ন পেলে কেউকেটা হতেন একদিন।
স্বরচিত গান গেয়ে পাড়ার ফাংশনে কতবার
হাততালি পেয়েছেন তুমুল, উত্তাল; তবু রবীন্দ্রনাথ
মনে মনে কষ্ট পান, কত কী করার ছিলো, হল না কিছুই!
ফোটোগ্রাফি
সকাল ন'টায় বাইকে স্টার্ট দিই।
তারপর ব্যস্ত মানুষ-জটলা-ভিড়,
গর্ত-বাম্পার-নাছোড়বান্দা টোটো,
এই শহর, এই যানজট, পেট্রলের গন্ধ
পেরোতে পেরোতে কখন ভুলে যাই
একটি শব্দ ছিলো, মোতিহারি তামাকের ঘ্রাণ।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে থেমে দুদন্ড দাঁড়াতে।
ক্ষুদিপানা পুকুরের পাড়ে, আদিগন্ত ধানক্ষেতের পাশে
মজা নদীর ওপর প্রাচীন সেতুর রেলিঙে
হাত রেখে একটু দাঁড়াতে। কিন্তু এত ব্যস্ততা!
একদিন ঠিক অমন করে অচেনা পথের ধারে দাঁড়াবো,
আর দূরগামী ট্রেনের জানলা থেকে তুমি হাত নেড়ে
আমার ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে যাবে।
বলো, দেবে তো?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন