রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯

পৃথা রায়চৌধুরী




উদ্বাস্তুশ্লোক  

এত যে উদ্ধত গর্জে উঠছ,
এত যে বিষণ্ণ স্বর শুনছে সবাই,
বুঝতে পারো?
বুঝতে পারো ঔদ্ধত্যের জামা পরেছে বিষাদ?
ভুল ভেবেছ,
বিষাদের প্রত্যন্ত নগরে ঘুরে ফেরে যে অপহৃত তারার দল,
তাদের হারানো স্বর পৌঁছে যাচ্ছে দুর্জ্ঞেয় শেকড়ের প্রান্তে
বৈধ প্রমাণের অভাবে।
কান ঝালাপালা হবার আগে রুখে দাঁড়াও
বাঁধ দাও জখম মনুষ্য নাড়ির।


পুনর্গঠন

শকুনিকে ডাকবো প্ল্যানচেটে
শিখে নেবো তুখোড় পাশাখেলা
শেখাবে না কোনও বিনিময় ছাড়া?
তবে শেখার বদলে দেবো প্রলোভন
বলবো, শরীর নেবে মশরীর?
এরপর শরীরে শকুনিকে ধারণ করে
গড়িয়ে দেবো বারবার পাশার চাল
গড়ে পিটে তৈরি করে নেবো,
এক মহা-ভারত।


মধ্যবিত্ত কবিতা

তিনটে চারটে পাঁচটা করে শাড়ি জমিয়েছি…
জমিয়েছি চেয়ে চিন্তে,
বালাপোষগুলো জরাগ্রস্ত হয়েছে,
কিছু কুৎসিত পুরনো শাড়ি থেকে
জন্ম নেবে কিছু নতুন বালাপোষ
পুরনো জমাট তুলো ঝেড়ে ধুনে জন্মাবে ভরন্ত ওম,
এসব কথা বলছিল অতি আধুনিকা এক কবি।
চেয়ে চিন্তের ভয়ে কিছু শাড়ি কিনে ফেলেছি আজই।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন