আহত ক্যান্টিন
আমার কাছে ওইটা, চার দেওয়াল ছাড়া আর কিছুই
ছিল না। তোরাই, ক্রমশঃ আমাকে বিশ্বাস করালি, যে আমারও নাকি প্রাণ আছে।
আমি? আমি কে?
বলছি সে সব…
তোরা…
তোরা যে আমার কে হোস...
কংক্রিটের ভিড়ে না হারাতে হারাতে খুঁজি এর উত্তর। তখন
আমার, তোদের ভেলা মনে হয়। আমাকে নিজেকে হারাতে না দিয়ে নিজেরাই একদিন ভোঁ হয়ে
যাস। যদিও অভ্যেস হয়ে গেছে এখন। তবুও, তবুও পকোড়ার তেলচিটুনির গন্ধের মাঝে মাঝে তোদের কারোর
কারোর কাওকে কাওকে দেওয়া গোলাপ ফুলের গন্ধ মিস করি ভীষণ।
আমি? আমি কে?
বলছি সে সব…
তোদের টেবিল বাজানো গান, গিটারের
টুং টাং, ভালোবাসা-বাসি সব, সব আমি একটা একটা করে তুলে রেখেছি।
ভেবেছি, তোরা আসবি, তোরা আসবি সেসব ফেরৎ নিতে।
কিন্তু কোথায় কী?
আমার মনে পড়ে যায়, রোজ দুপুরে তোদের গোল হয়ে
জমাট বাঁধা বন্ধুত্ব। তোদের হাতে হাত, চোখ চাওয়া চাইই।
আমি? আমি কে?
বলছি সে সব…
কিন্তু…
তার আগে বল, কোথায় গেলো তোদের সে সব কথা? ওদের যে দেখি না অনেক দিন… ভাগ হয়ে
গেছে, তাই তো? ব্যাঙ্গালোর-পুনে-চেন্নাই-হায়দ্রাবাদের কেবিনগুলোতে? তোদের
বছরের একদিনের ম্যাড্যাক্স স্কোয়ারে, ঢুকে পড়েছে নানা রঙের অজুহাত।
তোদের গানেরা, কবিতারা এখন বাধ্য ছেলে হয়ে গেছে।
আর আমি…
আমি কে?
আমি…
আমি তোদের সেলফির প্রশ্রয়ে বুড়ো
হয়ে যাওয়া;
আহত ক্যান্টিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন