মায়া
কি আছে, কারই বা কী থাকে?
স্পর্শে রেখেছ জানি তুমি অফুরন্ত ধন অলঙ্কার,
সোহাগ সিঁদুর, অভ্র- আতর...
তবু, সব কিছুর ঠিকানা কি
তোমার
এখানেই বাঁধা থাকে?
বেলা শেষ হবে। দীর্ঘ দুরন্ত শ্লোক
এসে ভিড়বে স্নিগ্ধ শান্ত জলের কাছে;
হাতে তিল, পুষ্প, জল রেখে নিজেকেই
চিনে নিও তাই
আমি তো ফকিরের গান শিখেছি
নিঃস্ব বাউল হব এবার।
শান্তি
চোখ বন্ধ রাখাই ভালো।
এই যে এত বাকবিতণ্ডা, তর্ক বিবাদ
ঘুস চালাচালির খেলা,
এক লেখা টুকে ঝেঁপে
নতুন লেখার খেলাধুলো...
হতেই পারে। হতেই পারে
বসিরহাট থেকে বোলপুর হয়ে
ব্যঙ্গালোরের কোনো লেখকের দেওয়ালে ঝড়
ওহ! চোখ বন্ধ রাখ, চোখ,
কান তো তোমার আগেই কেটেছে...
এখন বরং সাদা সুতো আনো
আর ঠোঁট দুটো সেলাই কর, এফোঁড় ওফোঁড়।
মনে রেখ মাষ্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি
শুধু তাই নয়, পাল্টি খাওয়াও মস্ত
বড় যোগ।
---শরীর চর্চা কর, শরীর চর্চা।
আসলে কি জানো, সব ভুলেছি আমরা
ভুলিনি শুধু, শান্তিই পরম ধর্ম।
সংকেত
কতটা পোড়ালে নিজেকে ছাই হওয়া যায়
কতোটাই বা মেঘ জমলে আবার শোনা যায় বৃষ্টির পথের ধারা।
তুমি তো এঁকে যাও কবি রঙ তুলি দিয়ে
অক্ষরের দেশে শব্দের ঘরবাড়ি...
তবুও কেন দেখি আজ সে রঙে রঙহীনতার মায়াজাল!
রঙ কি তবে কেবলই রঙ নয়!
না কি, ছাই শুধুই নয় ছাই।
এ এক অন্য কোনো শ্লোক,অন্য কোনো মুহূর্ত
মর্মর,
যার ভাষা বোঝে শুধু সময়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন