এক নীল চাঁদের রাতে
এক একটা দিন ধরো খর্ব নুব্জ শক্তিহীন অথবা বেপথু বেপরোয়া ভিজে। যারা আমার
মতো আর কখনো ঘনশ্যাম ঝাঁঝরি থেকে ঝরে যাওয়া আদরে ভিজবে না তোমরা কি তাহলে ধরেই
নিয়েছো শেষ হল ছয়টি পটের রঙের খেলা! আমিও তো তাই জানতাম। দোষ নেই এ না জানায় “কী
যাতনা বিষে বুঝিবে সে কীসে / কভু আশীবিষে দংশেনি যারে”।
বায়ুপ্রবাহের ফেরেল ছুটিয়ে নিয়ে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় গোল্লাছুট ছুট ছুট আর ছুট। আরেকটা দিন
ধরো কাণায় কাণায় অতুলনীয় উপচে পড়া।
সুতোয় বাঁধা এ মিছিল কারো কারো শেষ হয় না । ছিঁড়ে পড়ে ছিটকে পড়ে
দুমড়ে মুচড়ে যায় কেউ। কারো আবার পিঠে টনটন করে ব্যথায় আমার মতো। তখন চারপাশের
চুপকথা মুখ খোলে। মাথার উপরে উড়তে থাকা উনকির ঝাঁক শোনায় উনকি বাত... তুমি ওড়ো
তুমি ওড়ো এইবার! ওই দেখো বাওবাতাসে পাতা মেলে, মাটির গভীরে আরও গভীরে
শিকড় চালিয়ে যাওয়া বনস্পতি উড়ছে ঠায় দাঁড়িয়ে দুই গোলার্ধে!
আরেকটা দিন, হরি দিন তো গেল কিন্তু সন্ধ্যা নামে গাঢ় লিকারের অন্ধকার
স্যান্ডেল পায়ে। রাত আসে ঘ্যানঘ্যানে কখনো কখনো তোমার অনুযোগের মতো। কোথাও কিছু
নেই তবু যা কিছু সব যেন আমার কারণেই বিগড়োয়। সোজা উল্টো বুনোট থাকে তাতে। বাইরের
দিকের মসৃণ ঋণখেলাপির দায়ভার নিয়ে বিপরীতমুখী হাঁটতে শুরু করে দেয় দ্রুত। তখন
কেবলই উল্টো আর কেবলই ভিতরপানে গাঁট বাঁধা অমসৃণ হিসেবনিকেশ... খিদে পায়...
মনপুরায় চৌআখা জ্বালানি চায়। আগুনে সেঁকে নিতে চায় শরীর। আশ্চর্যজনক ভাবে
আঙুলেরা শিল্পী হয়ে ওঠে... নারীর চাওয়া
পুরুষ... পুরুষের জন্য নারী... ছেনি...
বাটালি... ইজেল... রোপণ উৎস... বিনির্মিতা সুখ... নারী অফুরান... অর্গাজমের পুরুষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন