জ্বর
শরীরী জ্যোৎস্নার ঢল
বিছানা গড়িয়ে সেই যে নেমে গেলো নষ্ট চাঁদ
জল শুধু জল জল আর জল
কপাল পুড়ছে সারারাত
শরীর শরীর
ভোরভোর জ্বর উদযাপন
শেষে মেঝেভর্তি জলছাপ
তাপ নেমে গেলে কী
যেন নেই হয়ে যায়
দেওয়ালের নোনাছাপ
স্থূল ডেটলের গন্ধ মেখে সিলিং ছুঁয়ে ফেলে...
স্মৃতি
বুকের ভেতরে পোড়া বাড়ি
অহেতুক খসে পড়া চুন
দরদালান থেকে অতীত নেমে এলো
উড়ো চুল
ভীষণ চাউনি
হাওয়া দিলো ঝোড়ো
যেন কাছেই কোথাও বৃষ্টি হয়েছে
বুকের ভেতরে পোড়া বাড়ি তারও গভীরে
সূক্ষ্ম কাচের মতো জল
কবেকার হারানো মায়াটি
ছায়ার মতন ধীরে
অজস্র ফাটলে ছড়িয়ে
গেল।
বেলাভূমি?
কত জন্ম পরে ওগো কত জন্ম পরে কাহাদের মুখ মনে পড়ে
তার বুক ব্যথায় ভরেছে!
একসাথে জন্মে যারা,
তাহাদের মৃত্যুর দিন ভীষণ আলাদা অথচ সেই চাঁদ, সেই
বুড়ি চাঁদ
পুরনো রাতের মায়ায়
ছায়াগন্ধ মৃত্তিকা
বালিকা বিকেলগুলি
সবই তো জন্মেছে একসাথে
কার কথা মনে করে আধেক
এ ঘুমে শিয়রে প্রদীপ নিভে গেছে
পৃথিবীর রোদ কমে আসে, আর
জল! আহা জল! সেও বুঝি
পাশে এসে নাকের উপরে ফুঁ
দেয়!
দিতো এমনটি করে! সেদিন বিকেলে!
যদিওবা পুরাতন প্রেম পুরাতন বিষের মতন
ধীরে ক্রিয়াশীল
বালিঘড়ি বয়ে যায় টিক টিক টিক...
কাহারও জন্যে কেহ অপেক্ষায় থাকে না কখনো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন