শৃগাল
আর কোনো ইচ্ছে
নেই
বাঁশপাতায় আগুন
জ্বেলে
কিছুটা উল্লাস
কুড়াই
আধপোড়া বিবেক
তবুও জেগে আছে
পিড়ামিডের
নিচে মমির হৃদয়ে
সব ভুলে যাওয়া
বৃষ্টি
একা একা বহুদূর
অনির্দিষ্ট পথ
চিত্ত ভয় শূন্য
হলে বেড়ে যায় রাত
কেউ নেই ক্রিয়াগুলি
শেয়ালের ডাক
নদীতে নামে
ধবল মেঘ
স্রোতে সর্বনামের
ঢেউ
বিলকুল চলে
যায়
বুক ভেঙে দিগন্তের
পাখি
ডানা খুলে পড়ে
থাকে রামধনু বন
কেবল মহিমা
দেখায়
মহিমা কষ্টপ্রদ
তবুও শৃগাল
বিধাতা
শপথ বিকোচ্ছে
অঙ্গীকার বাংলা
শব্দ পাশেই পড়ে আছে
রাজধানী শহরে
নীল কলেবর
তদ্ভব তৎসম
সব ঘর বেঁধে বাস করে
হাঁটতে হাঁটতে
কসাইয়ের ক্ষেত
মাংসবাজারে
শান দেয় ছুরি
কী সুন্দর ছুরি,
জবাই
ওরই স্ত্রী
চাকরি নেই ব্যবসা
করে রাতদিন
পান খাওয়া মুখের
ভাষায়
বের হয়ে আসে
লাল দাঁত
হাসির ঝিলিক
মারে বিদ্যুৎ পড়শি
মদন ভস্মের
পরও পরকীয়া মেখে নেয় রং
চলো দেখে আসি
বিধাতা এসেছে
সংসদ চালাবে
আর আপেল খাবে
কী সুন্দর স্বর্গে
বসবাস
নাচবে আপেল
সব, ডানে বামে, লম্বা
গলা হাঁস
ঢাক
খুব জোর বাজাচ্ছি
ঢাক
শুনতে পাও?
উন্মাদের হাওয়ায়
উলঙ্গ হয়ে উঠছি ক্রমশ
আর ঢাকের শব্দে
উথাল পাথাল সমুদ্দুর
ঢাক ছাড়া কিছু
নেই বাজাবার আর
দূরতর দ্বীপে
আছি
নোনা হৃদয়ের
ঘুম ভেঙে গেলে একা
অলৌকিক ট্রেনে
চড়ে চলে যায় যুবতী রঙিন পড়শিরা
কে শোনে কার
কথা?
তিরবিদ্ধ হতে
হতে মৃত্যুর শাসনে ডুবে যাই
কত আর নিরিবিলি
আমাকে দেবে আশ্রয়!
বাজুক বাজুক
ঢাক
যত ইচ্ছে বেজে
যাক নিরর্থ কোলাহলে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন