সে
এখন কোথায় আমি জানি না। হয়তো এতক্ষণে সে মরেই গেছে।
হয়তো এখনও সে
বেঁচে আছে, হয়তো নিজেকে সে লুকিয়ে নিয়েছে ঝোপে ঝাড়ে
অন্ধকারে। সবার দৃষ্টি থেকে
দূরে, চোখ বুজে। খরগোশের
হৃৎপিণ্ড বুকে নিয়ে বসে আছে সে। হয়তো ও অপেক্ষা করে
আছে মৃত্যুর। হয়তো মৃত্যু অপেক্ষায় আছে ওর। হয়তো আমার
হাতে রক্ত লেগে গেছে।
হয়তো আমার হাতে রক্ত লেগে যাবে।
মানি বা না মানি, আমাদের প্রত্যেকের
হাতেই মৃত্যু লেগে আছে। মানি বা না মানি,
আমরা প্রত্যেকেই খুনি
আচ্ছা আপনার সঙ্গে
কখনও এমন হয়, কেউ ডাকছে আপনার নাম
ধরে। খুব খুব স্পষ্ট, অথচ কে ডাকছে
আপনি জানেন না
আমি কিন্তু সাড়া দিই না, চুপচাপ
শুনি
ডাকুক ডাকুক, আরও ডাকুক
কেন এমন হয়? আমরা কি নিজেদের খুব
ভালোবাসি বলে? নিজের নাম-ডাক শুনতে
চাই বলে? সাইক্রিয়াটিসরা হয়তো
বলতে পারবেন বা আমার ফেসবুক বান্ধবী সংগীতা ঘোষ
আমি জানি না। আমি শুধু জানি, আমার
খুব শুনতে ইচ্ছা করে, ভেতরে ভেতরে ডেকে
যাওয়া সেই ডাক
এভাবেই
কেটে যায় বেশ কয়েক ঘন্টা। পোস্ট দেখে। ছবি দেখে। লাইক
দিয়ে। কমেন্ট দিয়ে।
হাজারো ফাতনা কিছুতেই স্থির থাকতে দেয় না আমাকে।
আঙুলকেও। হেথা নয়
হেথা নয় অন্য কোনখানে… এই নীতিতেই ব্যবসা
ফাঁদে ফেসবুক। বিজ্ঞাপনের ভাষায়
যারে কয়, টু মিনিটস্ নুডুলস্।
আর দিনের শেষে মিলিয়ে দেখি বেশ কয়েক ঘন্টা
ফেসবুকে কবিতা পড়ি এমন নয়। লেখাও। এতো তাড়াতাড়ি কি
পড়া যায় নাকি?
ঘাটে নৌকা ভিড়তেও তো কিছুটা সময় লাগে। যতই পাল তুলে
দিই, যতই
কাছি
খুলে দিই। যতই লগি টানি। জল’ও তো
কথা বলে!
আমি শুধু কবিতা দেখি আর মেয়ে। দুটোই দেখার জিনিস
আর শূন্য
সুপ্রভাত
শুভসন্ধ্যা এমনকি শুভরাত্রি, জানাই
আমি অনেককেই, আমাকেও। বিরক্ত লাগে
এমন নয়, বরঞ্চ ভালোই লাগে।
কিছুই নয়, কিছু অকারণ অকাজ মাত্র। সময় নেয় কিছু,
সময় দেয় কিছু। অহেতুক হতেও তো অজুহাত লাগে চ্যাটে
কিছু মিছু। একাবোকা থেকে
একটু সরে। বোকা একা হতে হতে একটু দূরে।
আঙুল-মুখর
সোশ্যাল মিডিয়ায়, এমনিতেই আমরা ক্রমে
অসামাজিক হয়ে গেছি। কাছের থেকে দূরে,
দূর ক্রমশ কাছে। মাঝে এক ফালি মাঠ, যেখানে
ঘাস গজায় কিন্তু ফুল ফোটে না
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন