যুদ্ধের দিনলিপি
তারপর একটা ঝুল
বারান্দা। আর নীচু হয়ে সে দেখছে। কাকে, কেন এভাবেই বা! পড়ে যায় যদি... ভাবতে
ভাবতেই এবার মাথার ওপর তাকালো, ওপর যেমন হয়, টালির শেড। যাতে রোদ বৃষ্টি থেকে কিছুটা আড়াল! একটু ওপরে কালো অনেকগুলো ইলেকট্রিকের তার, পাখি বসে বা বসে
নেই! তারও
অনেকটা ওপরে আকাশ। শরীরটাকে আবার,
অনেকটা বার করেই সে দেখছে... দেখার
মত তেমন কিছু না থাকলে কী মানুষ দেখে না! অথবা আছে। আমি বা আমরা জানিনা, সে
জানে! বেশ কিছু পর, একটা শব্দ ভেসে এলো, গোঁ... গোঁ... পতঙ্গও
এভাবে আওয়াজ করে। উঁহু, ভুল বলা হল। ডানা যখন খুব দ্রুত নড়ে, বাতাসের থেকেও দ্রুত, এভাবেই
শব্দ হয়, যেমন এরোপ্লেন। তবে কি এ কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি! বোমারু বিমান! তবে কি এবার বোম্বিং শুরু
হবে? না'কি আর চার পাঁচটা নিতান্ত হেঁজিপেঁজি সাধারণ দিন! সে কি ভয়
পাচ্ছে? এত
সতর্কতায় হাঁটছে! তাও আবার বারান্দার টালির ওপর... যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কি
এমনটাই হয়? অস্থির হয়ে ওঠে সময়!
মানুষ! গাছগুলোও অস্থির! যেন বিপদের আশঙ্কা! সে কি তাহলে বিপদের গন্ধ পাচ্ছে? আপাতত টালি বেয়ে, ইলেকট্রিকের তার ধরে সুপুরি
গাছের মাথায়! কী করতে চাইছে সে? কাঁপছে থরথর করে। ফলত: গাছটাও
কাঁপছে।
বাড়ির সামনের দেওয়াল এখন রঙ হচ্ছে। এবার লেখা হবে অমুককে অমুক চিহ্নে বিশাল ভোটে জয়যুক্ত করুন। সামনে নির্বাচন! দ্রুত হাঁটছে দেশ। বাতাসে অকারণ(!) বারুদ গন্ধ! সে ছেঁড়া খেঁজুর পাতায় নিজেকে আড়াল করছে! নিতান্তই অমূলক, তাই না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন