শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯

জয়তী দাস




তেষট্টি নং গলি

এত সব ভেবে লেখা, কিন্তু কোথায়!
চারকোলের ভেতরে যে দিনগুলো ওম নেয়,
যে পোশাক ছাতা মেলার বহুদিন আগে গ্যাছে ভিজে-
ছ্যাতলা পড়া কলচাতালে বাসনের কচকচানি;
কয়েকটা উচ্ছিষ্টের বাদ দেওয়া ছেঁড়া তেজপাতা-

মালতির মা এসবের মানে জানে
ওর শুকনো স্তনের নীচে বুকের শেষ হাড়টা;
কিছুটা মড়মড়ে আম ডালের মতো -
আগুন ওকে পারলে সুস্বাদু বস্তুর মতো চুষে খাবে-
দেখেছো, কোথায় কোন নিবৃত্তি! ও জানে
স্কচব্রাইটের ধার কমে এলেও গিন্নি কেন শেষগুলো জড়ো
করে রাখে-

ভূত-ভবিষ্যৎ ভেবে কি আর হবে?
কালো সুরঙ্গের ভেতরে গাইড ঢুকিয়ে দিয়েছে
তার গলায় একটা বাঁশি। সে সকাল সন্ধ্যায় নুনজলে
সেঁক নেয় তার গলায়, পরিবার বলে ভয়েসটা বদলাও-
সবাই কেমন কড়া হয়ে যায় একবয়সে!

প্রেম নয় সব গুড়ো কাগজ যেন-
মালতির মা কখনও প্রেমের চিঠি পায়নি
নাড়ু ওকে দু'আঙুলের সিটি আর ইশারায় বলেছিলো
মন্দিরে যেতে-
সাতাশটা বছর পানপাতার নীচে ওরা এক একরকমের
চিরুনি ব্যবহার করলো,
সাতাশটা বছর ওরা একই রকম আয়না ব্যবহার করলো
দু'জোড়া ভ্রু তবু পরস্পরের থেকে দূরে-


স্তুপের ফাঁক ফোঁকরে

এ পর্যন্ত পড়ার পর,
মননের গতিবেগ ন্যাশনাল হাইরোড থেকে-
ছিটকে পড়লো ইট বের করা অনির্মিত বাড়ির দেওয়ালে
থমকে আছে লিন্টেল পর্যন্ত,
হাঁ হয়ে থাকা দরজা জানলায় হায়নার ক্ষুধার্ত চোখ,
জন্ম-মৃত্যু, প্রেম বিচ্ছেদে পাঁচিলের পূর্ব কোণে কাঁটাবন;
পিঁপড়ের ঢিপির পাশে একছত্র মালিকানা,
স্বত্তাধীন শেষের পাতায় অসমাপ্ত দাঁড়ি,কমা-


সেই অংকটা

একশ এক জ্বরের পাশে,পড়ে আছে গ্রীষ্মের শীতকাল

ক্রমাগত ভেতরের ঘরে ঢুকতে ঢুকতে-
যে কটি দরজায় টোকা দিতে হয়!
ভাবতেই চলে আসে পূর্বপুরুষের চাবি-

সমস্ত বিকাল বসে যে অংকটা এখনও মিললো না!
অনায়াসে খুলে গেলো,
ব্যবহারহীন সেকেলে ঘড়িটার কাঁটায়-

এখানেই শুরু এবং শেষের অ্যালার্ম বেজেছিলো!
হাসিটার এককোণে দেওয়ালে আটকে সময়ের ছবি।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন