তেষট্টি নং গলি
এত সব
ভেবে লেখা, কিন্তু কোথায়!
চারকোলের
ভেতরে যে দিনগুলো ওম নেয়,
যে পোশাক
ছাতা মেলার বহুদিন আগে গ্যাছে ভিজে-
ছ্যাতলা
পড়া কলচাতালে বাসনের কচকচানি;
কয়েকটা
উচ্ছিষ্টের বাদ দেওয়া ছেঁড়া তেজপাতা-
মালতির মা
এসবের মানে জানে
ওর শুকনো স্তনের
নীচে বুকের শেষ হাড়টা;
কিছুটা
মড়মড়ে আম ডালের মতো -
আগুন ওকে
পারলে সুস্বাদু বস্তুর মতো চুষে খাবে-
দেখেছো, কোথায় কোন নিবৃত্তি! ও জানে
স্কচব্রাইটের
ধার কমে এলেও গিন্নি কেন শেষগুলো জড়ো
করে রাখে-
ভূত-ভবিষ্যৎ ভেবে কি আর হবে?
কালো
সুরঙ্গের ভেতরে গাইড ঢুকিয়ে দিয়েছে
তার গলায়
একটা বাঁশি। সে সকাল সন্ধ্যায় নুনজলে
সেঁক নেয়
তার গলায়, পরিবার বলে ভয়েসটা বদলাও-
সবাই কেমন
কড়া হয়ে যায় একবয়সে!
প্রেম নয়
সব গুড়ো কাগজ যেন-
মালতির মা
কখনও প্রেমের চিঠি পায়নি
নাড়ু ওকে
দু'আঙুলের সিটি আর ইশারায় বলেছিলো
মন্দিরে
যেতে-
সাতাশটা বছর
পানপাতার নীচে ওরা এক একরকমের
চিরুনি
ব্যবহার করলো,
সাতাশটা
বছর ওরা একই রকম আয়না ব্যবহার করলো
দু'জোড়া ভ্রু তবু পরস্পরের থেকে দূরে-
স্তুপের ফাঁক ফোঁকরে
এ পর্যন্ত
পড়ার পর,
মননের
গতিবেগ ন্যাশনাল হাইরোড থেকে-
ছিটকে
পড়লো ইট বের করা অনির্মিত বাড়ির দেওয়ালে
থমকে আছে
লিন্টেল পর্যন্ত,
হাঁ হয়ে
থাকা দরজা জানলায় হায়নার ক্ষুধার্ত চোখ,
জন্ম-মৃত্যু, প্রেম বিচ্ছেদে পাঁচিলের পূর্ব
কোণে কাঁটাবন;
পিঁপড়ের
ঢিপির পাশে একছত্র মালিকানা,
স্বত্তাধীন
শেষের পাতায় অসমাপ্ত দাঁড়ি,কমা-
সেই অংকটা
একশ এক জ্বরের পাশে,পড়ে আছে গ্রীষ্মের
শীতকাল
ক্রমাগত ভেতরের ঘরে ঢুকতে ঢুকতে-
যে কটি দরজায় টোকা দিতে হয়!
ভাবতেই চলে আসে পূর্বপুরুষের চাবি-
সমস্ত বিকাল বসে যে অংকটা এখনও মিললো না!
অনায়াসে খুলে গেলো,
ব্যবহারহীন সেকেলে ঘড়িটার কাঁটায়-
এখানেই শুরু এবং শেষের অ্যালার্ম বেজেছিলো!
হাসিটার এককোণে দেওয়ালে আটকে সময়ের ছবি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন