হৃদয়ে-বাইরে
ছোট্ট
পাহাড়ের টিলায় বসন্তকাল। ঝকঝকে নীল
আকাশ
প্রতিবিম্বিত নীল নদীর জলে। পরিবহন
পরিচলন
বিকিরণ তাপবিনিময় –– উষ্ণতার পরিবর্তন
হৃদয়ে-বাইরে।
মাটির উপর সারি সারি গাছ
শিশুদের
কোলাহল শিশিরসিক্ত দূর্বাঘাস।
শিরা-উপশিরায়
আগামী ও অতীতের দ্বন্দ্ব ও
মেলবন্ধন
প্রকট হয়। ভর থেকে শক্তির প্রকাশ
রং-করা
সন্ধিবিন্দুগুলি ভাবতে শেখায় অনবরত
বাৎসল্যবৃত্ত।
কোনো বিচ্ছিন্নতা নয়, শীত গ্রীষ্ম
বর্ষায়
হৃদয়ন্ত্রের সচল ক্রিয়ার ওড়ে চিত্রিত বালিহাঁস।
ধুলো
ঘর্ষণের
ফলে উৎপন্ন স্থিরতড়িৎ সংগ্রহে অস্থির অস্তিত্ব।
উত্তল
দর্পণে কাঁপতে থাকে পতঙ্গের পাখা। ধুলো
উড়িয়ে
নিয়ে যায় সময়ের উদ্বায়ী পুনর্জন্ম।
উল্কাপাতের
অবশিষ্ট পাথর স্মৃতি হয়ে যায়। চাক্ষুষ
ঋতু
পরিবর্তন ফোয়ারার জলে ভাষা খোঁজে। বিমূঢ়
অবেক্ষণ
এক্সোথার্মিক এন্ডোথার্মিক বিক্রিয়ায়
খুলে
দিচ্ছে কোটি কোটি মাইলের পথ।
ছড়িয়ে পড়তে থাকে
ভূমিকম্পের
উৎপত্তিস্থল এপিসেন্টার জেনে বিব্রত
দংশনে
আবেগতাড়িত অনুরণন। দূরত্ব ও অবস্থান
পালটে
যেতে থাকে। কর্মশক্তির অপার মহিমায়
পদ্মপাতায়
টলটল শিশিরবিন্দু। আয়নায় প্রতিবিম্বিত
চিনেমাটির
আসবাবপত্র, ঠান্ডা জলে স্নান সারে
কোনো
নারী। আলোর সন্ধানে পরমযত্নে
গর্ভস্থ
শিশুটি দুলতে থাকে। মহাকাশ থেকে
কোয়াসার্স
প্রেরিত বেতার-সংকেত ছড়িয়ে পড়তে
থাকে
চারদিকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন