অদ্রিজা দি তোমায়...
আমরা কোনোদিন রবীন্দ্রসদনে বৃষ্টি দেখিনি বলো? একসাথে?
দেখিনি... মনে করে দেখো একবার। মনে করে দেখো, আমরা কিন্তু ভুলে গেছি, আড়ালে স্বীকৃতি পাওয়া ডাকনাম। আমরা কিন্তু ভুলে গেছি, কীভাবে গিরীশ পার্ক চত্বরে, তোমার পাড়ার কাকুদের চোখ এড়িয়ে সাপ-সিঁড়ি খেলতাম আমরা। সেদিন দেখেছিলাম কী সুন্দর করে তুমি পালাতে পারো...
আমি নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম সেদিন কিন্তু!
কিন্তু...
যে কানামাছি খেলাটা আমরা এক বিকেলে শুরু করেছিলাম, কী করে বুঝতাম বলো যে, আমার চোখ বেঁধে দিয়ে, তুমি নিজেই ভোঁ হয়ে যাবে! চিল চিৎকার করেছি ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে
পাবি তাকে ছোঁ’
কাকে পাব?
কাকে ছোঁব?
সোম স্যার পড়িয়েছিলেন,
কারেন্ট আর ইলেকট্রন
নাকি উল্টো পথে
হাঁটে (তোমার
আমার মত)
বলেছিলেন, ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ওয়েভদের ছোটাছুটি।
আমি তারপর একদিন
মৃত অসিলোস্কোপের ছায়ায়
দেখলাম এসপ্ল্যানেডের জেব্রা
ক্রসিং।
তোমার পাঁচ আঙুলের
কাছে হাঁটু গেড়ে
বসে পড়ল সোম
স্যারের ‘কারেন্টে’এর ডেফিনেশান।
সেই থেকেই আমার
পরাজয় শুরু। তারপর,
কখনো, নিমতলা
ঘাটের পড়ন্ত আলোয়, কখনো রাসবিহারীর মোড়ে...
সেদিন অ্যাকাডেমিতে কত
বিজ্ঞের মত দেখছিলে
অ্যাক্রেলিকগুলো।
‘ভয় নেই,
ওরা তোমার থিসিসের
থেকে সোজা’! মনে হচ্ছিল বলে
আসি আলতো করে।
তোমার সেদিন কষ্ট
হচ্ছিল না গো?
একটু হয়েছে বলো?
কতদিন পর আমাদের
দেখা...
কতদিন পর...
আমি তো সেইজন্য
সেদিন বেড়িয়ে পড়েছিলাম
তাড়াতাড়ি বৃষ্টিতে। ভিজতে
চাইছিলাম...
সেইদিন... যেদিন আমরা রবীন্দ্রসদনে বৃষ্টি দেখলাম... একসাথে... সেইদিন
আমাদের বন্ধুত্বের
শোকসভার দিন...
সেইদিন আমার ভালোবাসার দিন...
চলো, একদিন
প্ল্যান করি নন্দনে, দেখে আসি,
তুমি-আমি, ‘প্রাক্তন’।
লাস্ট ডে। লাস্ট শো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন