শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯

মৌলীনাথ গোস্বামী




শেষ দেখা     

স্বপ্ন, না কী সত্তাহীন তন্দ্রাসফর?
আমি বলি, ঘুমের গভীরে তার সাথে হাঁটা-
যে মুখ এড়িয়ে গেছে যৌবনলোভী সময়ের থাবা
যার মুখ পায়ে পায়ে নাছোড়বান্দা আদুরে চোরকাঁটা 

শেষ দেখা সেই কবে অস্থিমজ্জায়
তারপরে অনেকখানি সময়ের নোনা রেখাবলি 
স্মৃতিরও ঘুম আসে, সেও বৃদ্ধ হয় 
স্বপ্নদর্পণে তাকে ছুঁই, একসাথে চলি

জীবনের লবণে মেশে দ্রবণের আহ্লাদ 
হয়তো তারও ঘুম কেঁপে ওঠে আমার নিঃশ্বাসে
মুখ নয়, শেষ দেখা মুখের আদল
আহিরভৈরোঁ হয়ে ভেসে যায় স্বপ্নের শেষ ক্যাম্পাসে...


পুজো   

তুমি যদি রাখ পা চণ্ডালডাঙায়
তোমার পায়ের ছাপ পায়ে পায়ে আলপনা
তুমি ছুঁয়ে দিলে দেহে ওঠে আশ্বিনের ঘ্রাণ
ঠোঁটের সৈকতে ডাকনাম লিখে
ঠিকানায় রেখে গেলে পবিত্র রমজান
তুমি তো আমার কাছে উৎসবের সামিল-

তোমাকেই রোজা রাখি
তোমাকে বোধনে ডাকি
তোমারই দু'হাত ধরে একদিন অকালভাসান...


 শেষের কবিতা     

বিদ্রোহী মাস যখন কঠিন
ন‍্যুব্জ সময় পর্দানশিন
মজ্জাগত ছত্রাকে আর দিন রাঙানো যায় না...
দৃষ্টিপ্রদীপ ক্রমশ ক্ষীণ
জীবন-জাড্য অনুভূতিহীন
এতদিনের জমা-পুঁজির স্মৃতিও সাথ দেয় না...

     এমন করে বাঁচতে নেই
     এভাবে কেউ বাঁচে না

বিহান চিরতমিস্রাধীন
আপোষবিহীন বিবর্ণ দিন
দৌহিত্রের সম্ভাষণে কর্ণকুহর ভাসে না...
বন্ধ্যা অতীত কবরে লীন
বর্তমানও সোনার হরিণ
যন্ত্রণা দেয় জাগরণ, ঘুম যে আর আসে না...

     এমন করে বাঁচতে নেই
      এভাবে কেউ বাঁচে না
      এভাবে কেউ বাঁচে না




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন