আব্বুলিশ
বাক্যহীনতা
বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়াই যেত। ছুঁয়ে ফেলা যেত বইমেলার শেষ স্টল। হলো না। তার বদলে দেখলাম, সীমান্তে কে যেন চুপি চুপি রেখে
গেছে রক্তকরবী। ধুলো যদি
ছড়িয়ে দেওয়া যেত, কেউ দেখতে পেত না লাল আভা। কুয়াশা
ভেবে যে যার মত ফিরে যেত। জমিয়ে
রাখত ছানা কাটা মেঘ...
বছরের
শুরুতে যদি নাম রাখতাম মেঘবালক, তবে বুঝি
বৃষ্টি হয়ে ভেজাতে রেনকোট? রেহাই পেত রুমাল।
কোথায় গেলে আসলে পাওয়া যায় উত্তর? তুমি তো আর
প্রথম প্রেমিক ছাড়া আর কিছুই না...
তোমার কি মাঝে মাঝে ভারী লাগে গোলাপ ফুল?
হাল্কা মনে হয় কার্তুজ?
তা যদি হয়, তাহলে তুমি
সত্যি সত্যিই মেঘ বালক... যে শুধু বৃষ্টি বোঝে, বর্ষা বোঝে
না...
দাড়িপাল্লার দরকার ছিল খুব। এতকাল ধরে জমিয়ে রাখা
বাষ্পগুলো কিলোদরে বেচে দেওয়া যেত। রাজি হয়েছিল বৃদ্ধ চশমার ফ্রেম। রাজি হয়েছিল
সদ্য ভাঙা শাঁখা। রাজি হয়েছিল...
কিন্তু...
একটা অ্যালবাম বানাবো ভাবছি...
অডিও-ভিস্যুয়াল বা হয়তো শুধুই স্বপ্ন থাকলো সেখানে... আই মিন, শুধুই শব্দ থাকলো সেখানে।
একটা সাইরেনের নাম হল ভৈরবী...
আর একটা সাইরেন এর নাম হল বৃন্দাবনী...
তারপর?
ভাবো দেখি তারপর
তারপর একদিন, বারুদের রং হবে গোলাপী।
কামান... থুড়ি, এক্কা গাড়ি করে সে খবর আনবে মেঘদূত।
কেউ যেন ঘর বাঁধবে, কুড়িয়ে পাওয়া নুড়ি দিয়ে। কাঠের বারান্দা বরাবর পুঁতে রাখবে রংমশাল
আলো
শুধু আলো...
'All
is fair in love and war'
তাহলে যুদ্ধটা একদিন ভালোবাসা হয়ে যাক
ক্যাকটাস থাকুক এধার ওধার বরাবর
ওরা বেগুনি ফুলের দিকে থাক... পিচকিরি ছুঁড়ুক একে অপরকে...
কথা দিচ্ছি
আর বায়না করবো না, তোমাকে দেখার
কফিনে করে শুধু প্রেম আসুক প্লিজ
আমরা শুধু দুর্গাপুজোয় ক্যাপ ফাটাবো...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন