খুলে যায় সব কিছু
যে বাড়িটায় কখনই ঢুকবে না,
তাতে একটা তালা ঝুলিয়ে দিও; খোল বা না খোল
বাড়িটা দেখিয়ে অনেক কিছু করে নিতে পারো,
ধূসর পথের ওপর ছড়িয়ে দিতে পারো লালফুল।
লাল সবুজ রঙগুলোর ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না,
ফাল্গুন মাস, নানা রঙ নানা যুক্তি,
যে বাড়িতেই ঢোক তুমি, যদি তালা ভাঙ্গে বা খোলে,
সবকটা জানালা খোলা, সবাই সব কিছু দেখে ফেলে,
শোবার ঘর ড্রয়িংরুম, ঝোলানো অন্তর্বাসের
ব্র্যান্ড,
সেক্রেটারিয়েট টেবিলে রাখা রূপোলী পিস্তল।
যে চাদরটা জড়াবে তুমি তাতেও ছিদ্র,
আলো হাওয়া ঢুকে পড়ছে যখন তখন,
উদোম শরীর ব্যালকনিতে বসে তুমি যে
গোপনে ডানপায়ের বুড়ো আঙ্গুল মুখে দেবে,
শিশুকালে খেলাচ্ছলের মতো
সেটার ছবিও নেবে পাপারাৎসি।
পতাকা
আমি এক শস্য ক্ষেতের ধারে বসে,
সূর্যমুখী দোলে হাওয়ায়, আখের শরবৎ
এনে দিল কন্যা, তার মাথায় লাল স্কার্ফ।
সূর্যমুখী দোলে হাওয়ায়, আখের শরবৎ
এনে দিল কন্যা, তার মাথায় লাল স্কার্ফ।
লালরং দিয়েছে সমস্ত অকর্মণ্যতায় ঢাকনা,
পতাকারা কি পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা ক্ষতি নয়?
পতাকারা কি পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা ক্ষতি নয়?
এই যে শুয়োরের পালের মত প্রতিটা মানুষের ব্যক্তিত্ব
হরণ করে পতাকা তার যাই হোক রঙ,
আমার কি বা এমন ঠেকা তোমার সুরে সুর মেলাবো,
লাল হলুদ গেরুয়া নীল!
হরণ করে পতাকা তার যাই হোক রঙ,
আমার কি বা এমন ঠেকা তোমার সুরে সুর মেলাবো,
লাল হলুদ গেরুয়া নীল!
আমার কথা ছাড়ো,
নরকে বসে গান গাই, বলি না ধর্ম আফিং,
একবগগা কিছু ভাল লাগে না, ব্যাখ্যাও না,
টীকাকারদের দেখতে পারি না,
কে এতো জানতে চেয়েছে তোমার কাছে,
কেন তুমি লোকের উপকারে এতো ব্যস্ত-
কী স্বার্থ তোমার হে?
নরকে বসে গান গাই, বলি না ধর্ম আফিং,
একবগগা কিছু ভাল লাগে না, ব্যাখ্যাও না,
টীকাকারদের দেখতে পারি না,
কে এতো জানতে চেয়েছে তোমার কাছে,
কেন তুমি লোকের উপকারে এতো ব্যস্ত-
কী স্বার্থ তোমার হে?
মাঝরাতে
মাঝরাতে ফ্ল্যাটবাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড়ালে
সে বাড়ির কোন দরজাই চট করে খোলে না,
একটার পর একটা জানালা কিন্তু খুলতেই থাকে,
ঘুলঘুলিতে থেকে অত রাত্তিরেও পায়রা ডেকে ওঠে,
কে আসে মাঝরাতে এই সমস্ত বাড়িতে গেরস্তপাড়ায়
অসময়ে, সেকি কোন মেয়ে না ছেলে, না না সে
চেনা লোক, বাড়ি ফিরছে সেই মেয়েটা যে নাচতে
যায় বারে; বলেছে কাজ করে বিউটি পার্লারে।
এ বাড়ির দরজা খোলে না চট করে, আগন্তুক
টুকটুক টোকা মারে গেটে রাত্তিরে, চেনা সব
কিছু এত অচেনা হয় লহমায়, লোহার গেট
একটু ফাঁক হয়, গার্ডের বিরক্তি গায়ে মেখে
করে সে মানুষ ঢুকে যায় কম্পাউন্ডে,
চাবি দিয়ে তালা খোলে- খাবার ঢাকা থাকে,
অন্য ঘরে বৃদ্ধা মা অচৈতন্য ঘুমে।
সান্ধ্যকালীন
অন্ধকারে আন্দাজে চাবি, খুলে গেল এজমালি,
কিছু একটা ধ্বংস হলো চুরচুর,
কোন পোকা আশ্রয় নিয়েছিলো তালার গহ্বরে?
ভেতরে যাও, আদেশ করলো কে,
একটা কাঠের সিঁড়ি - কর্কশ
সঙ্গীত গায়
বেয়ে বেয়ে উঠছি ওপরে,
বুঝতে পারছি না কোথার এলাম
আরও উঠলাম।
ভয়াবহ সিঁড়ি, একটু বসলাম,
আজ
রাতের মধ্যেই বিছানায় যেতে হবে
ভীষণ
ক্লান্তিতে জড়িয়ে রয়েছে ঘুম
শীতঘুম
হাইবারনেশনে যাবো এমন সরীসৃপ।
কোথাও
আলো নেই নিশ্ছিদ্র অন্ধকার,
স্বল্পালোকিত
ব্রাইডাল সাদা পোষাক
আলতো
বাড়িয়ে দিল ধপধপে হাত।
আমি
কি ধরব এতো সাদা হাত!
কোথায়
পৌঁছব ছুঁয়ে তোমাকে?
আমার
জন্য তো তুমি নও,
বললো
তোমার ফুলদানির সান্ধ্যকালীন ফুল।
সুখদুঃখ
আমার ফেলে আসা আহত সুখ
তোমার জানালায় পড়ন্ত রোদ্দুর,
ছায়ারা হারিয়ে গেলে আমি একাকী-
ছায়া কোথায় যে পথ দেখাবে?
এই কারাগার আমার মা,
অনেক উঁচুতে ভাইবোন জানালারা,
আকাশ যদি কাঁদতে চাও আমার হয়ে,
চোখের জল পাঠিয়ে দেবো,
মেঘের নৌকো ভরে।
আমার ফেলে আসা আহত সুখ
তোমার জানালায় পড়ন্ত রোদ্দুর,
ছায়ারা হারিয়ে গেলে আমি একাকী-
ছায়া কোথায় যে পথ দেখাবে?
এই কারাগার আমার মা,
অনেক উঁচুতে ভাইবোন জানালারা,
আকাশ যদি কাঁদতে চাও আমার হয়ে,
চোখের জল পাঠিয়ে দেবো,
মেঘের নৌকো ভরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন