বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৯

শুভঙ্কর দাশ




আধশোয়া রোদ


পাহাড়ের মাথায় পড়ে ছিল
আধশোয়া রোদ
আমি তার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম
নরম ঘাসের মখমলে।
তখন পাখির আলোয় তাকাতে হয়
চোখ কুঁচকে,
আর সামনের পাহাড় ধোঁয়া হয়ে আছে
আরামে।

এখানে চুপচাপ ভালোবাসা জন্মায়
ভরসা জন্মায় কেন যে?
খানিক ক্ষণ পর চলে যেতে হবে
জেনেও।


উত্তুরে

আজ থেকে উত্তুরে হাওয়া দিচ্ছে
জয়রাম বলল
এবার নাকি বরফ পড়বে।
ঠাণ্ডা ঠিক আছে তাবলে বরফ?
পড়ুকগে আমার কী।
আমি ভাবছি তোমার কথা
সেসব জড়াজড়ি দিন
যদি একটু গা গরম হয়।
অবশ্য পাহাড়ি মধু যা এবার পেলাম
তা খেলেও চুমুর মতো কাজে দেবে।


অবাধ্য

কান্নাগুলো শয়তানের মতো
চোখ আবছা করে দেয়
কথা শোনে না কিছুতেই।

নিজেকে তখন এত আনস্মার্ট লাগে
এই বুঝি আমাকে বুঝে ফেলল ওরা
এই বুঝি ওদের হাতে চলে গেল
আমার সমস্ত দূর্বলতা।

এইসব বৃষ্টির ফোঁটারা কবে যে 
মানুষ হবে ঠিকঠাক?
কবে যে পাশে বসে মদ খাবে
আর সমানে মদের গ্লাসের পেগ
বড় হয়ে যাবে?

এরকম একটা রাত্রি আর
যেন না আসে জীবনে।
এরকম একটা অসহায়তা।

যখন শ্বাস নিতে কষ্ট হয় খুব
শ্বাস নিয়েই বা কী হবে
এরকম মনে হতে থাকে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন