বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৯

অয়ন্ত ইমরুল




যেখানে তিতির অপেরা বেজে
         
এভাবেও বিঁধতে পারে ময়নাকাঁটা, ফ্রক পেরিয়ে
যতদূর ত্বকের ঘ্রাণ গলে পড়ে দুপুরের সিমারে--
এই জারুল আস্তিকের সুরে ছড়ায় ঝিরিঝিরি।
কোথাও সই সয়ে মিতকনে
সাত ডোরা রু রু বহুদূরে রেখে আসে আনচান উড়াল--
যেখানে তিতির অপেরা বেজে
ওড়ায় তিরির হাওয়া কৃষকের মাথাল,
হেম সে হাওয়ায়, বাড়ির দিকে মুখ করা
শ্রীমতী কাউন দোলায় তার শীষ
এইখানে,ধুঁদুল পুবের রিলে
কথার ফড়িং সব
আলতো হয়ে শুয়ে গিনিঘাসে--
ঘোড়ার চিঁহি ফিরে
ফিরে মহিষের স্রোত।
কতদূর মে ফ্লাই মিলন শেষে
ফেলে যায় চিরঘুম!
শরীর করা সন্ধ্যায়
চাঁদ করা রূপায় ঢেউ দেয় মহল নদী
একটা পাতি শ্যামাঘুঘু
বাঁশ ও বাঁশফুলে চেখে নেয় বাড়ির ঘ্রাণ।

একটা লাল জিপের ডায়েরি   

ফিরে পাওয়া দোলায় একটা মিনজিরি
গাঢ় তার পাতা,
ফাল্গুন থেকে ছুটে এসে সেঁকা কোকিলের তোপে তোপে একটা টেলিগ্রাফ...
কুহুটি ক্যাসেট থেকে কেউ ফুটাচ্ছে।
তবে ওইটুকু ছাপোষা মিমি মেলে ধরে
মাছরাঙা
সমাবর্তনের ছৌ মুখে সুরেলা ছায়ার রূপকথায়
হয়তো বা ভানমন্দিরে
আমাদের সবার একটা
হেলানো চাকার পাখি ক্রিং মিটিয়ে চলে গেছে সাদা ধূলির দূরত্বে....
সেবার ফ্রকের টুসিতে তুষারপাত দেখে কেউ হাতড়ে ফিরছে একটা সফেদার বন
একটা লাল জিপের ডায়েরি
অথচ কি এক নির্বিকার ফ্ল্যাশব্যাকে
পড়ে রইল রঙধনু ব্যাঙের পূত মিলিটারী!
তবু হে নৃত্য হে আশাবরী
অযত্নের এক রক্তজবা গড়িয়ে পড়লো
আমাদের নিশান লাগা দাওয়ায় আর
পুরনো ঘড়ির বেল চিৎকার করে বলে উঠলো....
জননী
জননী
জননী।

লহমা

ও লহমা দেখে নিশ্চল ঘোড়ার আড়াই চাল
হেন এই হাই রঙের সকাল...
পৈতায় লাগে শীতের ডাকাত। ডাকাতে ব্যার্থ পুরুষ প্রকৃতি।
যে শিল্পে কেটলির ধোঁয়া উড়ছে একলা
এক ক্রিয়াপদ হারানো পিয়ানো...
আমরা কি এড়িয়ে যায়নি পরস্পরকে!
অথচ দেখো, আমাদের দুপাশেই নিমরাজি
ফেভিকলের পাখির খসরা।
কেউ ব্রিজ শিখছে,কেউ কালভার্ট।
তুমি লাল, নীল লহমার ভেতর কেবল টুকে রাখছো বিপন্ন মশলার বন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন