শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮

পিয়াল রায়




ঘুম দাও ঘুম


কথা  শেষ
এবার ঘুমোতে দাও

ভোররাতে কেউ এসে নিয়ে গেছে
সমস্ত বাজন
সানাইয়ের সুর, এস্রাজের ছলাৎ ছলাৎ

এখানে কেউ কোনোদিন ছিল না
তবু মাঝেমাঝে আলগোছে ছুঁয়ে দিলে
দরজায় ফুটে ওঠে দিনের কোরক
যেভাবে তাকে ব্যাখ্যা করা যায়
সেভাবে তো বলা যায় না মুঠোভরা ভিজে ধুলোর গন্ধ 
এখানে কেউ ছড়িয়ে দিয়েছিল
আলতো ফুঁয়ে
আর প্রেমিকের রূপে বাতাস
সন্তর্পণে তাকে জড়ো করেছিল অতি সতর্কতায়

বলা যায় না পাখিগন্ধের শাশ্বত লিপি
কীভাবে শরীরের ভিতর
দানা দানা ঝড় তুলেছিল আর
সকল পরিচিত হয়ে উঠেছিল নিতান্তই দুর্লভ

সব কথা বলা যায় না
তার আগেই ঘুম এসে দখল করে
কথার বুনন
তার আগেই লিপি থেকে ঝরে যায় আকাশের একমুখী চাঁদ 

শুধু চুপচাপ ঘাস থেকে ঝরে যায় ভোরের কুসুম 

## 

কোনো উত্তর নেই
   এত যে চিঠির পর চিঠি
         সবই নির্বাক মিছিল যেন

আজ ঊনত্রিশ জুলাই, রবিবার
এটাই প্রকৃত সময়
নিজেকে হত্যা করে পুঁতে ফেলার
কোনো মন্দিরের ভিতর

লাখো লাখো লোক
    ভিড় বারাচ্ছে মেলা ঘিরে

অথচ ভিড় থেকে অনেকদূরে
      দাঁড়িয়ে আছে মেলা

এটুকু বুঝতে সময় নিলে পুরো আটত্রিশ বছর
সাতান্ন মাস তিরশো চুরাশি ঘন্টা

তারপর মেলা থেকে 
          ফিরে এলে গা বাঁচিয়ে!

##

একদিকে জল
  তরঙ্গ ভাঙতে ভাঙতে
         নুয়ে গেল শিবিরের দিকে

অন্যদিকে
  একটা চৌকোনো টেবিল
অ্যাকোয়ারিয়া সাজাতে সাজাতে
হাত মুছলো রুমালের কোণে

একটা লন্ঠন বেশ খানিকটা
   তফাৎ থেকে দেখল দুজনকেই

ওরাও দেখল এক চোখ কানা
মুখমন্ডলে অজস্র মাকড়জাল
লন্ঠন তাকিয়ে আছে যেন কোনো
নির্লজ্জ বেশ্যা দেখছে জনসমাগমহত
পানের দোকান

হা কৃষ্ণ! পাথরের মূর্তি বলে তোমায় গাল দিল যে
তাকেই কিনা দিয়ে গেলে আঠেরো আনা জমিদারি!

আর কারো হৃদয়বিদারক কান্না
             দেখেও দেখলে না একবার 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন