ললিতা
ললিতা!
মাথা নিচু পিছু হেঁটে নয়,
সামনে
ছুটে বিশ্ব করো জয়;
পথ
নেই পিছনে দেয়াল,
রাষ্ট্রযন্ত্রে
জং,
দুর্মুখের গোয়াল।
শক্ত
করে বেঁধে নেও কোমর -
আলোয়
বাঁধো চোখ,
আর
মেনে নেওয়া নয় অন্ধকার;
মুখ
বন্ধ করে সহ্য কোরো না অপমান
কথা
বলো,
অধিকার চাও উঁচু করে স্বর।
পাল্টাও
জীবন -
সমাজের
চোখের ছানি কাটো ফিকে নুন,
আগামী
কাগজের প্রথম পাতায় দেখতে চাই -
‘ধর্ষিতার
হাতে ধর্ষক হয়েছে খুন’।
বোবা
মেয়েটাও ইশারায় লিখবে ইতিহাস,
সার্টিফিকেটী
মূর্খের ধরবে না ধরনা,
টোকা
দিয়ে নাক ফাটাবে ইভটিজারের,
কথা
দাও তুমি পারবে না!
জাগো!
আপন বিকাশে মাতো,
নিজ
হাতে নাও শিশুকন্যার ভার -
বলো, এ বিশ্ব, এ ভূমি, এ সংসার
আমার,
লাঞ্ছনায়
ঠেলে দিয়ে চাই না নারী দিবস উপহার।
আহ্বান
ঘন্টা
বাজলো, শুনছেন?
কান
খাড়া রাখুন -
আবার
বাজবে,
তবে
অতটা জোরে নয় -
যতটা
জোরে বাজে মন্দির মসজিদ ও গীর্জায়।
তা
মধুর,
কখন কখন মিষ্টি সুর -
মনুষ্য
কন্ঠে উর্বরা ভাবনায়,
শুনলেই
চলে আসুন জনপদে
তালা
লাগিয়ে রিপুর তাড়নায়।
আটলান্টাসের জয়
মাতা
আল্কমেনি!
হেরাক্লেসের
প্যান্ট খেয়েছে কোন প্রাণী?
কেন জন্ম দিলে এমন হাবাগোবা যম,
কোন
ভাবনায় ছেড়ে দিয়েছিলে মর্তে -
ওই
উলঙ্গ ডোম!
হাঁটু
গেড়ে আসমান মাথায় -
এখনো
পৃথিবীতে ফুঁ দিয়ে যায়;
আর
আটলান্টাস!
তাঁর
(হারকিউলিসের) স্কাল্পচার বিকিয়ে -
রোজ
সোনার আপেল খায়।
জয়!
পুরনো ও নতুনে আটলান্টাসদের জয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন