প্রার্থনা
জন্ম মুহূর্ত ফিরিয়ে দাও হে প্রথাসিদ্ধ বধির ঈশ্বর।
সময় পেলে বদলে দিতে পারি অন্ধ বিকেল
বেবাক
ঝামেলা সামলে নেব
কার এতো
সাধ্য বলো আয়ু রেখা খেয়ে নেয়!
বাবাকে
ফিরিয়ে দাও। সামনে এসে সে দাঁড়াক মহীরুহ আমি ছায়া চাই
ওকে পেলে
সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
এই ভাঙা ঘর আয়ুরেখা বিষাক্ত শ্বাস...
রাহুর মতো লোকটাও...
ওহে গণ্ডী কাটা ভোর অমন স্থাণু হয়ে
দাঁড়িয়ে থেকো না
দেবী
অভিযোগ এর আঙুল ওঠে বারবার
বিছানো
শরীরে মধু ওম!
যৌনতা
চেটে খায় নির্লিপ্ত আরশোলা
শার্সির
ফাঁক ঘেঁষে চোখেদের আসা যাওয়া
এরপরে
থমকে থাকা সিঁথি শূন্য
মা নও
স্ত্রী নও
অসহ্য
আগুনমুখো দেহ কার জন্যে ধিকিধিকি জ্বলো!
দ্বারপ্রান্ত থেকে মাটি তুলে যে অনন্ত উৎসব,
তাতে তুমি
কোথাও ছিলে না
মৃত্যুর মতো সে দাঁড়িয়ে থাকে
মৃত্যুর মতো সে দাঁড়িয়ে থাকে চোখ ঠিকরে আসে
মুখ গহ্বর লাল যেন রক্তের আদিম স্রোত
গিলে খাবে
চোখের মাপে এঁটে যায় যাবতীয় দোষ ত্রূটি এমনকি তুচ্ছ আয়ুরেখা!
সে আরো দীর্ঘ হয়ে ওঠে
ছাদ ফুঁড়ে উঠে যায়
ওহ মন! ওহ
নিয়মতান্ত্রিক ঘরবারান্দা! কি আশ্চর্য! এরপরেও মাথা উঁচু করে বেঁচে আছি!
হতভাগা হৃদযন্ত্র সামান্য শ্বাস পেলে
বর্তে যায়
এমন অসহ্য বায়ু যেন ছুঁয়ে দিলে এইমাত্র
সবটুকু নির্যাস চুঁয়ে সবুজ তরলে রূপ নেবে ঘৃণা
এই বিষে সমস্ত সঙ্গম মিথ্যা হল, অথচ
বিবাহফুল তেমনই সাজানো ছিল
ধোঁকার টাটে তিনটে বেলের পাতা তিল তুলসী অভুক্ত পেট, দানের
বাটিও... অটুট
চরিত্র এমন এক পাখি, উড়ে যায়, উড়ে যে যায়, সেও তো প্রমাণ সাপেক্ষ! তবু ওই যে! “সে
যাহা বলিবে তাহাই সত্য তাহার বাহিরে কিছু নাই”
ক্ষতবিক্ষত রাতপায়ু, ধারালো
ফলার মতো দাঁত ময়লাটে নখ গন্ধলিঙ্গ উপুড়...
দমন করো শেকলে বেঁধে রাখো জিভ, না হলে উপড়ে নাও জরায়ু তন্তু
চরিত্র এমন একটি ফুস! ফস করে উবে যায়,
সে বলেছে পাপিয়সী সে বলেছে বাড় বেশি হলে কীভাবে ছেঁটে
দিতে হয় স্পন্দনশীল স্নায়ু
সে বলেছে এসমস্ত যৌনবিধান - স্বাভাবিক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন