নীল গোলাপের সঙ্গে
মণিময় স্যার কোল্ডড্রিংকস অফার করলেন। পিয়ালীর গা গুলোতে লাগল। হাসিমুখে অসম্মতি জানাল। পাশ থেকে কেউ একজন খয়েরদাঁত মেলে বলল, তাহলে একটু পাশপোর্ট চলবে? না জানাল পিয়ালী। আসলে এই টাকা দিতে আসা। বাসনপত্র ফিরিয়ে দেবার ব্যাপার আছে। পিয়ালী যখন বাসনপত্র ধুচ্ছিল অপ্রতুল জলের কারণে সাদা দাগ রয়ে গেছে। খাবার থালার মধ্যে পুজোর তাম্রপাত্রটি এলো কী করে কে জানে!
পিয়ালীর মুখ অন্ধকার। ওরা ঘর পায় নি। এসি ঘরগুলো সবুজ রঙের লোকেরা নাকি আগে থেকেই বুক করে রেখেছে। পিয়ালী অরূপের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ওদের যেন চোখে চোখে কথা হয়ে যায়, এই সিঁড়ির নিচে লাল রঙের মেঝেতে ওরা স্লিপিং ব্যাগ মেলে শোবে। অরূপের গোলাপছাঁট চুল। পরের বার পশ্চিম বাংলার মানচিত্র করাবে।
এটা পিয়ালীর চেনা ছোটবেলাকার স্টেশন। এখানে দাঁড়িয়ে আগের স্টেশন থেকে এগিয়ে আসা ট্রেনের গতিবিধি অনেকটা দেখা যায়।
অরূপের সঙ্গে গায়ে গা লেপ্টে হেঁটে যাওয়া ঝিলপাড় ধরে আসলে পিয়ালীর ছোটবেলায় অরূপকে টেনে আনা, নাকি অরূপই আসতে চেয়েছিল, কে জানে! চাঁদপাথরের স্বচ্ছতামাখা ঝিলের জল। অরূপের গোলাপগন্ধী আদর।
পিয়ালী ফিরে এলো হোটেলে। ওর বন্ধুরা কী করে যেন শত্রু হয়ে গেছে আজকাল। মিতা ফিচেল হেসে জিজ্ঞেস করল, ভদ্রলোক তোমার কে হয়?
: ব্যবসার
পার্টনার। এরা ফেসবুকে ফাটকের দারোয়ানকে সব বলে দেয়। খেতে বসে পিয়ালীর গলা
দিয়ে আলংকারিক অন্ন আর নামছে না।
অরূপ চাতালে কে এক বন্ধু জুটিয়ে মালের বোতল খুলে বসেছে। মানে অরূপকে আর পাওয়া যাবে না। শুধু ঐ ঝিলপাড়ের ঝিলিক ঝিলিক উষ্ণতা ছাড়া।
এই হোটেলের তিনতলার ব্যালকনি থেকে পাড়বাঁধানো গাছবসানো পুকুরটা দেখতে ভালো লাগছে। এখানে সবাই স্নান করছে সাঁতারের পোশাক পরে। অথচ এটা পাব্লিক প্লেস। যে তিনটে বৌ স্নান করতে নামল সবাই পিয়ালীর পরিচিত। বাইক চালিয়ে এসেছে ওরা। জলে নামার আগে মোষের শিঙের শিঙা বাজালো।
পিয়ালীর অফিসে সবাই একে অন্যের পরিবারের কাহিনী জানে। গল্প করে। একে অন্যকে চিমটি কাটে। পিওনদি পুত্রবধূর সঠিক অর্গ্যাজম কবে হয় না হয় সব জানে।
পিয়ালী হঠাৎ হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে এলো। এখানে সেই ছোট্টবেলার বাড়িতে ফিরে যাবে? কিন্তু সেটা বিক্রি হয়ে গেছে না? শেষ ট্রেন কি চলে গেছে? ট্রেন আসছে? দূরে কিন্তু প্ল্যাটফর্মের থরথরানি সে টের পাচ্ছে। ট্রেন হাঁপাচ্ছে। মণিময় স্যারের মতো মুখ ট্রেনের। পিয়ালী বসে পড়ল প্ল্যাটফর্মের উপর।
অরূপ চাতালে কে এক বন্ধু জুটিয়ে মালের বোতল খুলে বসেছে। মানে অরূপকে আর পাওয়া যাবে না। শুধু ঐ ঝিলপাড়ের ঝিলিক ঝিলিক উষ্ণতা ছাড়া।
এই হোটেলের তিনতলার ব্যালকনি থেকে পাড়বাঁধানো গাছবসানো পুকুরটা দেখতে ভালো লাগছে। এখানে সবাই স্নান করছে সাঁতারের পোশাক পরে। অথচ এটা পাব্লিক প্লেস। যে তিনটে বৌ স্নান করতে নামল সবাই পিয়ালীর পরিচিত। বাইক চালিয়ে এসেছে ওরা। জলে নামার আগে মোষের শিঙের শিঙা বাজালো।
পিয়ালীর অফিসে সবাই একে অন্যের পরিবারের কাহিনী জানে। গল্প করে। একে অন্যকে চিমটি কাটে। পিওনদি পুত্রবধূর সঠিক অর্গ্যাজম কবে হয় না হয় সব জানে।
পিয়ালী হঠাৎ হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে এলো। এখানে সেই ছোট্টবেলার বাড়িতে ফিরে যাবে? কিন্তু সেটা বিক্রি হয়ে গেছে না? শেষ ট্রেন কি চলে গেছে? ট্রেন আসছে? দূরে কিন্তু প্ল্যাটফর্মের থরথরানি সে টের পাচ্ছে। ট্রেন হাঁপাচ্ছে। মণিময় স্যারের মতো মুখ ট্রেনের। পিয়ালী বসে পড়ল প্ল্যাটফর্মের উপর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন