কালিমাটি
অনলাইন / ৬২
গত
৬১তম সংখ্যা কালিমাটি অনলাইনে কথনবিশ্ব বিভাগে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল ‘কী যে
বলি’ শিরোনামে। লিখেছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক অধ্যাপক অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়। লেখাটিতে তিনি
একদিকে যেমন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেছেন, অন্যদিকে তেমনি সামাজিক ও
ধর্মীয় বিভিন্ন প্রথা ও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থাপিত করেছেন প্রাণী হত্যার
বিরুদ্ধে অথবা আরও স্পষ্ট করে বলা যায় প্রাণী হত্যার নৃশংসতার বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ
ও হতাশার কথা। এই লেখাটির প্রাসঙ্গিকতায় প্রকাশ করা হয়েছিল আন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত
একটি পুজো প্রাঙ্গনে রক্ষিত হাড়িকাঠের ছবি, একটি রক্তরঞ্জিত গরুর ছবি এবং বাকি
দুটি ছবি মাংসের বাজারে টাঙানো সদ্য হনন করা প্রাণীর ছবি। ফেসবুকের টাইমলাইনে যখন
এইসব ছবি সহ লেখাটি পড়ার জন্য লিঙ্ক দেওয়া হয়, তার প্রতিক্রিয়ায় কেউ কেউ তিক্ততা
প্রকাশ করে মন্তব্য করেছিলেন, ‘নৃশংসতা।
না ছাপলে ভালো করতেন’। আবার কেউ সংশয় প্রকাশ করেছিলেন, ‘আজকের দিনেও... Digital... Science... এ যুগেও এমনটা... হবে / হয়... ভাবতে হবে’। প্রতিক্রিয়ার উত্তরে আমরা
জানাতে বাধ্য হয়েছিলাম যে, লেখাটা কিন্তু নৃশংসতা বিরোধী। অর্থাৎ লেখাটি হয়তো
আপনারা পড়েননি এবং না পড়েই যা হোক একটা মন্তব্য লিখছেন, অথবা লেখাটি পড়েও তা
সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেননি, তাই এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। আর প্রকাশিত ছবিগুলো
দেখে যদি নৃশংসতা বলে মনে হয়ে থাকে, তাহলে বলতেই হয় যে, এসব নৃশংস দৃশ্যের প্রায়শই
আমরা মুখোমুখি হই, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এবং প্রকাশ্য বাজারে ও ময়দানে। তখন
কিন্তু সেই অসহায় প্রাণীগুলির হত্যাকান্ড দেখে আমরা বিচলিত হই না এবং প্রতিবাদও
করি না। বরং সেই হত্যাকান্ড যদি ধর্মীয় পরিসরে ঘটে, তাহলে আমরা মনে করি, এসবই
ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। আর
যদি তা আমাদের খাদ্যসংস্কৃতির অন্তর্গত হয়, তাহলে আমরা নিশ্চিন্ত হই আমাদের
খাদ্য-খাদকের সম্পর্কের কথা মনে মনে আবৃত্তি করে। এবং একথা উল্লেখ করা বাহুল্য যে,
করুণাময় ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আমরা যে প্রাণীদের হত্যা করি, সেইসব প্রাণী কিন্তু আমাদের
খাদ্য-খাদকেরই তালিকাভুক্ত। সুতরাং যে
দৃশ্যাবলী আমরা প্রায় নিয়মিত দেখতে অভ্যস্ত, ফেসবুকের টাইমলাইমে তা প্রকাশিত হলে
আপত্তি করার কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। আর তাই আমরা এটাই একান্ত ভাবে আশা
করব যে, প্রত্যেক পাঠক-পাঠিকা যেন কালিমাটি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিটি লেখাই নিবিড়
ভাবে পাঠ করেন এবং সেই পড়ার প্রেক্ষিতে যা
কিছু তাঁর প্রতিক্রিয়া এবং অভিমত, তা অবশ্যই প্রকাশ করেন। প্রকৃত সত্যের মুখোমুখি
হবার সৎসাহস আমাদের সবারই থাকা একান্ত জরুরি।
বিগত
২০১৮ কলকাতা বইমেলায় ‘ধানসিড়ি প্রকাশন’ থেকে প্রকাশিত হয়েছিল গল্প সংকলন ‘গল্প
২৭’। এই সংকলনে সংকলিত হয়েছিল ‘কালিমাটি’ (মুদ্রিত) পত্রিকায় প্রকাশিত ২৭টি গল্প।
বইটি যে পাঠক-পাঠিকাদের কাছে যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে, এই সংবাদে আমরা খুবই আনন্দিত।
প্রসঙ্গত জানাই, আগামী ২০১৯ কলকাতা বইমেলা শুরু হওয়ার আগেই ‘বৈভাষিক প্রকাশনী’
থেকে প্রকাশিত হলো কবিতা সংকলন ‘কবিতা ডট কম’। মূলত আন্তর্জাল ‘কালিমাটি অনলাইন’ পত্রিকায় এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত
অসংখ্য কবির অগণিত কবিতার মধ্যে থেকে আপাতত বেছে নেওয়া হয়েছে বিরাশিজন কবির কবিতা। অধুনা প্রয়াত কয়েকজন কবির কবিতা অবশ্য
‘কালিমাটি’ পত্রিকা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং ‘কালিমাটি’ পত্রিকার
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এই সংকলনেও কয়েকজন বিশিষ্ট প্রবীণ কবির পাশাপাশি
মূলত তরুণ ও তরুণতর প্রজন্মের কবিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়তো বাহুল্য হবে, এই বিরাশিজন কবির কবিতার নিবিড় পাঠে সমসময়ের
বাংলা কবিতার ধারাটিকে মোটামুটি ভাবে
স্পর্শ করতে পারবেন প্রিয় পাঠক-পাঠিকারা। প্রসঙ্গত জানাই, এই সংকলনটি শুধুমাত্র
ভারতে বসবাসকারী কবিদের বাংলা কবিতার সংকলন। এই বিরাশিজন কবি ছাড়াও আরও অনেক কবি ‘কালিমাটি’ ও ‘কালিমাটি অনলাইন’ পত্রিকায় নিয়মিতভাবে
কবিতা লিখেছেন ও লিখছেন। এবং শুধু ভারতে বসবাসকারী কবিরাই নন, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী, বিশেষত বাংলাদেশের কবিরা ‘কালিমাটি’কে তাঁদের কবিতায় সমৃদ্ধ করেছেন। আগামী কবিতা সংকলনে আমরা সেইসব কবিদের
কবিতা প্রকাশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
সবাইকে জানাই শীতের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের ই-মেল ঠিকানা :
kajalsen1952@gmail.com
/ kalimationline100@gmail.com
দূরভাষ যোগাযোগ :
08789040217 / 09835544675
অথবা সরাসরি ডাকযোগে যোগাযোগ :
Kajal Sen, Flat 301, Phase 2, Parvati Condominium, 50 Pramathanagar Main Road, Pramathanagar, Jamshedpur 831002, Jharkhand, India
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন