শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮

শুভঙ্কর দাশ




ইজিচেয়ারে বসে থাকা একটা বেকার মানুষ-   

আমার তো কিছু কাজ নেই ভালোবাসা ছাড়া
মানে ভাবো একটা মানুষ সারাদিন
শুধু ভালোবাসার কারবার করে।
কাউকে যখন ফোন করি
ভাবি সে ধরবে
না ধরলে মনে হয় বিপদ হলো না তো
কেন যে মনে হয় এইসব।
এটা ঠিক না একটুও।
           
ভাবি মাঝে মাঝে
বড় বেশি ন্যাকা হয়ে যাচ্ছি আজকাল
বা বয়স বেড়ে গেলে মানুষ এত নরম
হয়ে পড়ে।
তোমরা যাকে ন্যাকা বলো আরকী।

বাবাকে কাঁদতে দেখে মনে হয়েছিল
ভুল দেখছি না তো?
সারা জীবন দাবড়ে চলা মানুষটার চোখে জল?
শরীরের জোর কমে এলে এই লবণাক্ত জলই
সঙ্গী হয়ে থাকে চোখের আড়ালে
যাকে কেউ দেখতে পায় না
দেখতে নেইও।



ইজিচেয়ারে বসে থাকা একটা বেকার মানুষ-  

খানিকটা তন্দ্রা আর খানিকটা ক্লান্তি তখনও       
চেয়ারে বসে বসে মাঝে মাঝে চোখ মেলে তাকালে
দেখা যায় দূরের বাড়িগুলো।

জড়াজড়ি করে আছে চোখ।
তবু দেখি সামনের বাড়ির দুটো থাম
হাঁটতে বেরিয়েছে
আর তার পাশের বাড়ির মাথার উপর অকারণে
জ্বলে থাকা আলোর ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসছে
সুতোর মতো আঁকাবাঁকা শিরারা।
এ দেখা বার বার করে দেখা বলে
ভ্রান্তি নিয়ে প্রশ্ন না করাই ভালো। 

যেভাবে আমার চোখের শিরারা বেড়াতে যায়
সেভাবেই ওরাও যেতে পারে 
তাই ফের চোখ বুজে
দেখি ঘুমেরা কী করছে সব।  


ইজিচেয়ারে বসে থাকা একটা বেকার মানুষ-  

তিনজন বৌদ্ধ লামা যে পাহাড়ি পথ বেয়ে যাচ্ছিল
এত দূর থেকে মনে হচ্ছিল
তা শেষ হচ্ছে বৃষ্টির মেঘে।
আচ্ছা ওরা তিনজন মিলে
কী কথা বলছিল বলে তোমার মনে হয়?
কথা কি বয়স অনুযায়ী পালটে পালটে যায়।     
যেভাবে স্বপ্নগুলো রোজ একটু করে বুড়ো হয়
সেভাবেই?







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন