আমি তোমার বিরহে তোমাতে করিব বাস
(১)
নিরাশ আঁধারে বাস? দেহ ছিঁড়ে ফালা করে
নল ক্যাথিটার?
শরীরে গরল? তবু কষ্টের ঘুমে রাখো
স্বপ্নময় প্রেমের পাহাড়?
প্রিয়া আছে ঘুমে ঘামে স্মৃতি স্পর্শে গোপন স্বপনে
স্বরচিত
অসহ পাথর বাস তবু প্রিয়া প্রেম বিরহানলে চিত্রার্পিত?
আসলে তোমার সামনে ঈশ্বর রেখেছে প্রশ্ন অজানা অবুঝ
ছেঁড়া দেহ বিরহ আগুনে নিরাময়? স্নিগ্ধ
হবে প্রেমের সবুজ?
(২)
পাখি ওড়ার সাঁঝে তোমার আঁচলের গন্ধ পাই
সুদূরে রয়েছি বসে সেই বাস জাগায় বিরহ
স্বরচিত আগুনে পোড়া এই যাতনার দেহে
তোমার স্পর্শ কমে আসে জেগে আছো তুমি
এই অবেলা জীবনে আমি কোথা যাবো
অবিশ্বাসের পথে পা বাড়লে আমার প্রণয় মুহূর্তগুলি
কেউ যদি গুঁড়িয়ে দেয় চৌচির?
তাই শব্দহীন প্রেমে আমি ঘাসের শিশিরে পাই জলজ চুম্বন
যৌনদেহে মথিত করি তোমার সোহাগ
তুমি তো তাদের মতো নও যারা দেহ অন্ধ
অন্ধত্ব তাদের বুকে জাগে অন্তর্লীন হা হা হাসে
প্রেমহীনতা
তুমি মাটি ফুল পাখি সজল উপজ তুমি থাকো সুদূর একাকী
তবু তুমি অনুরেণু শ্বাস হয়ে ছুটে আসো পৃথিবীর নিজ
প্রদক্ষিণে
প্রকৃতি ক্ষতের গাথা লিখে রাখে সময় লিপিতে
আমিও ক্ষয়িষ্ণু বুকে লিখে যাই প্রেম দ্রোহগাথা
(৩)
বিরহ জালের মতো বিছিয়ে রেখেছি গো
গায়ে মাখছি শহর ভেজানো কৌতুহল
টুকরো টুকরো প্রেম স্বপ্ন সোহাগ
তোমার চুম ঘুম
এখন নিজেই নিজের বশে নেই আমি গো
আয়নায় নিজেকে সঁপে দিতে বড় ভয় হয়
কাঁচুলি পাকের মতো প্রিয়া স্মৃতি স্যাঁত্ সরে যায়
আমি সেই কল্প পাকে অতৃপ্ত শব্দ বাছি
উচাটনে ঝুম
কষ্ট পিঠ পেতে আমি ঘাসে রাখি বিরহ আগুন গো
ছড়িয়ে দিই গন্ধ স্মৃতি তোমার বুকের সুবাস
আমার স্মৃতির গন্ধে প্রজাপতির যৌনমিলন
পরাগমিলনের এই সময় আমি প্রিয়াকে হারাই বারবার
শরীর শরীরময় দীর্ঘশ্বাস মাঠ ঘাট নদী বন হাওয়ায়
মিলায়
দেবে কি তোমার কপাল জুড়ে উম
স্বপ্ন কুমকুম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন