রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮

ফেরদৌসী আক্তার




কেউ কি নেই?

জনপদ, আহা!
ক্ষয়ে ক্ষয়ে হাঁটছে -
যেদিকে কামাক্ষ্যার গর্ভগৃহ গুহা;
কেউ কি নেই এমন  
যে দেখাবে গুহা নয় আলোর ভ্রমণ?  
যে গড়বে নির্জীব প্রাণের হুস,
ভাঙবে ধোঁয়া মাখা বাদামী ফুসফুস?  
আর মানুষকে ডেকে ডেকে অনুবাদ শোনাবে...
একটাই শব্দের, ‘মানুষ’?

বলুন না!
  
কেমন হয়?  
যদি এই আমাকেই দেখেন
ভিন্ন ভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন রঙ্গের জামায়!
সুযোগ পেলেই ধরুন বসে পড়ি -
পাতানো চেয়ার বা চেয়ারের হাতায়;
অথবা ধেই ধেই করে নাচছি -
মন্টু মিয়ার জয়ের তাড়ায়!  
মাথা মোটা হতে পারি
তাই বলে বুদ্ধিতে মোটেই খাটো নই!  
দেখলেও দেখতে পারেন -
দাঁত কেলিয়ে নিজের গা ঘষছি
আস্তে আস্তে ভোট কেন্দ্রের গায়
সর্বদাই নিজের লভ্যাংশের হিসাবে -
এক'শ পার্সেন্ট সিরিয়াস;
আমার কী? পৃথিবী যদি জলাঞ্জলি যায়!  
অথবা জীর্ণ মতবাদ যদি খুব ঘটা করে  
স্থান পায় ইতিহাসের পাতায়!
বলুন না! কেমন হয়?


দ্বিতীয় দৃশ্য
        
শুভ দর্শন শেষ, মূকাভিনয় শুরু,
এর পরেই দেখবেন বর্তমানকে -
দুর্মুখ লোক মৃদুভাষীর গুরু
মধ্যযুগে ছিলো যে যে দৃশ্য স্থগিত,
এডিটিং পর্বেই দেখবেন সবগুলো উপস্থিত

শুধু এতটুকু তফাৎ -
মাঝে মাঝে আছে মারফতি গান, আর শরিয়ত;
যেখানে থাকার কথা মানুষের খাদ্য, ভাত
আরো কিছু যুক্ত - যা এখন সামান্য অনুক্ত,
রাজনীতির জাঙ্গিয়া পড়া ব্যক্তিত্ব -
খোঁচা খোঁচা দাড়ি, গোঁফ আর শিকারী দাঁত

যাক গে, বাদ দিন
কচি ডিরেক্টরের কাজ,
আর কিছু পারুক ছাই না পারুক -
ধরে পারুর বাঁকা দেহের ভাঁজ;
আর কি ধরবে বলুন ঐ নাজুক হাত?
বামন ক্যামেরাম্যান কি পারে দৃশ্যে ধরতে
এত লম্বা ফুটপাতে?


আচার্যদা

আত্মার দরজায় খিল এঁটে 
শাস্ত্রচর্চায় ব্যস্ত ভীষণ,
লোকটা কে?
চোখের চশমা নাকে ঠেকিয়ে -
দিনের আলোকে বুড়ো আঙ্গুল দেখায় যে;
কোটি বাক্স ফাঁকা...
দুই হাতের তালুতে রাহু ও কেতু লেখা;
মাথায় দো ভাঁজের ঘোমটা,
আর পুচ্ছ, বাতাসে উড়ছে খোলা -
তার উপরে নাচছে মাছি, দে দোলা... দে দোলা
লোকটা আমার আচার্যদা


আপন শৃঙ্খল


যে মুক্ত পাখিটি নির্দিধায় খোলা আকাশে ভাসতো,
আর মাতাল করতো গানে গানে বসন্তের বাতাস,
আজ সে খাঁচা ভালোবাসে,
সুর শব্দহীন অন্ধকার গুহায় বাঁচে
অস্থিরতায় সংকীর্ণ ডানা নড়ে ওঠে...
ঝড়ে পড়ে কিছু বয়স্ক পালক;
আলোর পথে উড়ে যায় তা
বয়ে নিয়ে যায় কিছু বুড়ো ইতিহাস ফলকে ফলকে




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন