রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮

নীপবীথি ভৌমিক



নিজের সাথে নিজে


(১)

এখনো সময় আছে। সময় আছে সংলাপের শরীরে।

অনন্তে মিশে যাওয়ার আগে
এসো, হাত ধুয়ে নেই সহজ জলের গভীরে।

(২)

এক একটা রঙ শেষ হয়ে গেলে
জেগে ওঠে নতুন এক জন্মরং,

জাগতিক যত ‌সুর, সবই কি শুধু  সন্ধ্যা
চিনে নেয়!

প্রহর শেষে প্রহর হয়। শেষ প্রহরেই ‌আমরা‌ বাঁধি
সুর আবার হিন্দোল বন্দিশে।

(৩)

হয়ত এখানেই সেই পথ।
এখানেই সেই পথের বাঁক...

অচেনা হওয়ার আগে চেনা নামে
নদী বয়ে যায় সমস্ত শেষ পথে।

(৪)

সফলতাকে যতই চিনতে শিখি
ততই দেখি ব্যর্থতার উপহাস।

এগিয়ে চলা সব পথই যে আসলে
কোথাও এগোইনি, খোলা ‌দরজার হাসিতে
চোখ চিনে নেয় অজান্তেই।

(৫)

মানুষ চিনতে চিনতে নিজেকেই কি
চিনেছি কখনো?

শয়তান বলি যাকে পরমানন্দে,
নিজের ভিতর মুখোশ লুকোই কোথায়
নিজেই তখন?

(৬)

এই সমস্ত জলের ঢেউয়ে ‌ঢেউয়ে কখনো কি কিছুর ছায়া ছিল?
অথচ, আমার খোলা চোখ এড়িয়ে গেছে হয়ত তার কিছু। 
শব্দ আর অনুরণন চিনে নিয়ে কেউ হয়ত ‌গিয়েছে দূরে সরে।
আর ‌আমি, হাত না ছুঁতে পারা পাখির মতো
স্পর্শের অনধিকার নিয়েই ঘর বাঁধি পর জন্মের খাতায়।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন