দোল
হাসির মধ্যে আলতো
দুলছে শৈশব
দোলের দুপুর নেহাতই
আনাড়ি!
রঙের ভিতর চূর্ণ
হচ্ছে আয়না,
রাধার মত মুখের
কলমকারি
বেড়া
ভিতরে পথ কাটছে
পাহাড়ি আঁধার
বাইরে রূপসী গাছের
চোখে আলো
আযুর সেই প্রহরী
বেড়া জানে
গিয়েছে তারাই, যারা
ফিরবে না ককখনো
মোহনবাজার
পেঁয়াজকলির ঝাঁপিয়ে
পড়া মৌতাতে
মন ঢেলেছেন
আনাজপ্রাণ পরী
ক্যাপসিকামের গায়ে
হলুদ রাতে,
মোহনবাজার তোমায় গড়
করি
গাছমন্দির
গাছমন্দির জানে
পূজারি নির্জনতা
ক্যানোপিধন্য বাতাসে
যার মন্ত্র ফিসফাস
দীর্ঘ সরল গুঁড়িতে
দেবী মুখচ্ছবি
রুখু পাতা জেনেছিল, বাকিটা
বাতাস
খন্ডহর
কেল্লার পোড়াঘরে
ভেঙেছে খিলান
রাজ্যপতনের প্রেত
হাসি ইঁটঘুমে নত
অবশিষ্ট গম্বুজে টো
টো করে বাদশাহী হাওয়া
পড়ে থাকে চকে আঁকা
হৃদচিহ্ন, ক্ষত
দুর্ঘটনা
নীলিমা সন্ত্রাস
আগাম টের পেয়ে
পাইন বনে গর্জন করে
অ্যামবুশ ধ্বনি,
জেড প্লাস পাথরে
ঘেরাও বাঁকে
মেঘ জানে প্রেতকথা, খাদ
পুরাতনী।
গার্ডেনচেয়ার
শূন্য জোড়া চেয়ার, কারও
বসার কথা ছিল?
একলা মাগে জুড়িয়ে
যাচ্ছে স্মৃতি,
বাগান-শোভন কুশন
জানে সব
গভীর ছায়া টেবিল
রীতি-নীতি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন