একগুচ্ছ ন্যানোবিতা
(১)
এইভাবে মৃতেরা শব্দ হয়ে গেল
দরজা খুলে গেলে
বাতাস'ও কাঁচা কাঁপা অক্ষরে
লিখছিল পরমায়ু্
(২)
এসব প্রাচীন ক্ষুরধ্বনি
আনো, আনো
বর্শা আনো
আদিমতম শিকারে চিরে ফেলি ক্ষুধার্ত রাত
(৩)
যুদ্ধের কোনো নাম হয় না
এ শুধু হলুদ মনোরম
নিঃশব্দে সাঁকো পেরিয়ে যায় শীত
নিঃশব্দে সাঁকো পেরিয়ে যায় শীত
(৪)
পিছনে তাকাতে নেই
হাঁটি হাঁটি পা পা
ক্ষমা করো চাতুরি
হাঁটি হাঁটি পা পা
ক্ষমা করো চাতুরি
দুর্গন্ধ আমার পরিচয় নয়
(৫)
সাহস দিলে তাকাতাম ভাঁজে খাঁজে
মিটিয়ে মিটিয়ে সব ময়লা মাটি
আমার যে বড্ড ভয় করে। ধর্মে ও শীতে
মিটিয়ে মিটিয়ে সব ময়লা মাটি
আমার যে বড্ড ভয় করে। ধর্মে ও শীতে
এরা যে শ্লা, প্রহসন জানে না
(৬)
জাহাজ ছেড়ে দিলে
নিজেরই ঠোঁটের ভিতর ঠোঁট ঢুকেছে তৃতীয়বার
প্ররোচনা নিষিদ্ধ এখানে
নিজেরই ঠোঁটের ভিতর ঠোঁট ঢুকেছে তৃতীয়বার
প্ররোচনা নিষিদ্ধ এখানে
(৭)
আমি একলা বেচি রাত
মাটি মাটি। দু'মুঠো মেয়ে
অসৎ হলো রাত
(৮)
এ তো অসাবধানী মেঠো রোদ্দুর
সাবধানী হও, সাবধানী হও পথিক
মেঠো আলপথে
মেঘে কখনো মুঠো ভরে না
(৯)
এইসব রোদেলা দুপুর
এইসব দুপুরের রোদ
ভা
ঙ
ছে
মেঘে মেঘে
গ
ড়
ছে
এইসব দুপুরের রোদ
এখনো তো সূর্য ওঠে নাই
(১০)
জল আর কথা বলে না
জল আর কথা শোনে না
চুপচাপ। চুপচাপ
জলে ভাসে আমার ছায়া
(১১)
পথে হেঁটে হেঁটে
হেঁটে পথে পথে
ভোরের প্রণয়
লিখে রাখছি সেসব
লিখে যাচ্ছি যেসব
ভোরের প্রণয়
আমি লেখা নই
লেখা আমি নয়
ভোরের প্রণয়
ভিতরে ভিতরে ফিরে গেছে রোদ
(১২)
এসব পালক পালক সবুজ
কোটরে দরজা দরজা নাম
উঁকি মারে। উঁকি মারো
তুমি হেঁটে যাও বা থেমে
কোটরে কোনো জানলা থাকে না
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন