সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

ফারহানা রহমান




অনুসরণ

কোনো অজানাকে নয় 
বরং ভয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বুঝতে পারি
ফ্রেমে আটকে যাচ্ছে 
একের পর এক 
অযোগ্য যত শৈলী
যা কিছু মানবিক অথবা অশেষ 
তুমি তাকে শিল্পী বলে জানো
যা কিছু হার্মোনিয়াস 
কল্পনা অথবা ঝালরের মতো 
দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়া পেন্টিংস...
আর তুমি বোহেমিয়ান বলেই 
সবটুকু নিরবতার বিনিময়ে 
সাফল্যের সিরিজ থেকে ছিটকে যাও
অথচ প্রতিবার আত্মহত্যার আগে
এখনো অনুসরণ করে চলেছো 
প্রেমিকার ঠোঁটে লেগে থাকা মৃদু হাসিটিকে


অভিনয়

কে জানতো আবার 
এমন করে দেখা হয়ে যাবে
বুঝতে না পারার অক্ষমতা থেকে 
ফিরে যাওয়া স্মৃতির আড়ালে
যা কিছু হারিয়ে যায় 
ঘুরে দাঁড়ানোর দিকে
ফেলে আসা উপেক্ষার চোখ 
ফেলে আসা ভুল প্রেম 
দেহজ মায়ায় লেগে থাকা জলজ বিষাদ 
নিয়ন আঁধারে ঢেকে যাওয়া বিকেল 
সবকিছু মৃতপ্রায় আর 
অজস্র ফেনিল শতাব্দীর মতো
জীবনের পশমি তোরঙ্গে হারিয়ে গিয়েছে...
বুকের গভীরে কান পেতে শুনতে পাই
কেউ একজন 
একঘেয়ে বিদায়ী সঙ্গীত বাজাচ্ছে 
ভুলে যাওয়া অভিনয়ে


 বাঁশিওয়ালা

সব আয়োজন এখানে মুহূর্ত নিয়ে বেঁচে থাকার   
রাতের কিনারায় যে বাঁশি বাজায়
তাকে ক্রমাগত হেঁটে যেতে হয় নিজের দিকেই
ওগো বাঁশিওয়ালা তোমার অনুভতি পাঁজরের খুব কাছে  
কল্পনা অথবা অনাগত বেদনার নির্যাস নিয়ে
হৃদয়ের কাছাকাছি আবছায়া ঘুমের কবিতা দিয়ে
নিজেকেই ঘুমঘোরে বিকোতে চায় বাজারে,  
অথচ তখনো এখানে ফুলের বিকাশ নিরব হয়ে থাকে
কণ্ঠজুড়ে কাকাতুয়া কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত হয়ে গেলে
কখনো দুপুরগুলো নত হয় মধ্যরাতের সিথানে
দেখো অন্ধ আর্তিতে বেহালা বাদকের সাধনা থেমে গেলে
চারিদিকে কেমন তিমির হাহাকার আর
আমাদের এই ভাগাড়ে কৌসুলি বেঁচে থাকা  
কেমন ভীষণ অর্থহীন হয়ে পড়ে...
 

 









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন