দহন
শতচ্ছিন্ন পোশাকের মত জীর্ণ বিবেক
পাড়ার মোড়ে যে মেয়েটি লাঞ্ছিত
যার সম্ভ্রম কানাকড়ি মূল্যে বাজারজাত
তার হৃদয়ে জ্বলে লেলিহান শিখা,
নগ্নতা ব্যাধি হয়ে ছিঁড়ে খায় সমাজের মেধা
রিক্ত হাতে চলতে থাকে সেবার অভ্যাস!
বাতিল কাগজের ভাঁজে লুকিয়ে রাখা সংকেত
কিলোদরে কখন যেন উঠে যায়
রদ্দিওয়ালার তুলাযন্ত্রে, মাপা
হয় গহীন মন
নিরক্ত মুখে ফুটে ওঠে বলিরেখার দাগ
তীব্র বেদনায় বীজ বপন শেষে প্রতীক্ষা চলে
পরবাসী মেঘেরাও কখন ঝরে পড়ে
মাটির জঠর আর মনজ ভূমিতে।
পরগাছা
বৃক্ষ শরীর সেজে ওঠে পরগাছায়
জমতে থাকা পিচ্ছিলতাকে আঁকড়ে
বেঁচে থাকা, পত্রের অহমিকাহীন ফুল,
এমনি করেই বুঝি জীবনের সমঝোতা?
কিছু তথ্য সংক্রামিত হয় ঘুড়ি ওড়া ছাদ
ঠিকানা বিহীন চিঠি পৌঁছে যায়,
অন্ধকার সুপ্তি ভাঙা রাতে পথচলা শুরু
বাহকের কাঁধে ভার অর্পণ শেষ হলে
নিশ্চিন্ত হওয়ার পালা চলে মনের গভীরে।
যবনিকার অন্তরালে মহড়ার সূচনা
শুধু সীমানা ছাড়িয়ে অগ্রগণ্য
জবাবদিহি সমাপ্ত হলে প্রশ্ন সাজিয়ে নেওয়া।
পলক ফেলা
এক টানে ছিঁড়ে ফেলা যায় মুখোশের অন্তরাল
যত কথা স্তরে স্তরে জমা হয় মেমোরি ব্যাংকে
সবকিছু নিয়েই দৌড়ের হার্ডল পেরোনো,
কতখানি গভীরে ক্ষরিত হয় জলের ধারা
রৌদ্রের ঘ্রাণ নিতে গিয়ে মেয়েটি ভাবুক হয়!
ঋতচেতা নারীটির লড়াইয়ে জড়ানো
আষাঢ়ে মেঘের সাদা ভেলা
প্রথা ভাঙতে গিয়ে সমাজের রক্তিম নজর
আর চোখে দেখে নিয়ে বহতা নদীর স্রোতে
ভাসতে থাকা অসীম সামুদ্রিক ঢেউ
দৃষ্টি বিভঙ্গে পরিযায়ী পাখি ওড়ে
কাছাকাছি থেকেও অপরিচিত নর ও নারীর মত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন