আমার ইচ্ছা
ও জানালা
দিয়ে ছুঁড়ে দেয় ডিমের খোলা, পচা আম
কাঁঠালের
ভূতি…
আমি
ওর মুখের দিকে চাইতে পারি না
ছাদের
উপর উঠে ও চাঁদ ও নক্ষত্রদের ডাকে
অন্যগ্রহের
মানুষদের ডাকে
আমি
ওর মোবাইল নম্বর চাইতে পারি না
আলো
নিভিয়ে চুপচাপ বসে থাকি
অন্ধকারে
ওর মুখ হেসে ওঠে
ওর মুখের
হাসি লিখে রাখি
আমার
সাইকেল ওর রাস্তা ছেড়ে দাঁড়ায়
আমার
চপ্পল নিঃশব্দে ওর জানালা পেরোয়
আমার
ইচ্ছা লুকিয়ে থাকে
লুকিয়ে
লুকিয়ে পাখি হয়
শরৎ
ৠতুর মেঘ হয়
সোনালি
ধানের রোদ হয়
পদাবলির
ঢেউ হয়
আর কোনো
ইচ্ছে নেই
বাঁশপাতায়
আগুন জ্বেলে
কিছুটা
উল্লাস কুড়াই
আধপোড়া
বিবেক তবুও জেগে থাকে
পিরামিডের
নিচে মমির হৃদয়ে
সব ভুলে
যাওয়া বৃষ্টি
একা
একা বহুদূর অনির্দিষ্ট পথ
চিত্ত
ভয় শূন্য হলে বেড়ে যায় রাত
কেউ
নেই , ক্রিয়াগুলি শেয়ালের ডাক
নদীতে
নামে ধবল মেঘ
স্রোতে
সর্বনামের ঢেউ
বিলকুল
চলে যায়
বুক
ভেঙে দিগন্তের পাখি
ডানা
খুলে পড়ে থাকে, রামধনু বন
কেবল
মহিমা দেখায়
মহিমা
কষ্টপ্রদ তবুও শৃগাল…
আমার
জীবনযাপন শোনে মেঘদূতের বাঁশি
কেবল
বহির্পথগামী সংসার বিহীন
অনিয়ন্ত্রিত
মুখ্যত অসমীচীন
পথে
পথে রাধাকৃষ্ণচূড়া ফুটে ওঠে
রঙে
ও রেখায় দোলে গোধূলিবাউল
রোজ
একটা সাঁকো পেরিয়ে যাই
এপার
ওপার জীবন ঢেউ দেয়
আমাকে
ভেজায় বাউল
আমাকে
ভেজায় ঢেউ
ভিজতে
ভিজতে আমি দূরতর দ্বীপ
এখানে
বাসনা কাঁদে না
মাছরাঙা
উড়ে গেলে
গভীর
গভীর আকাশ শুধু
পদাবলিগুলি
মানুষের রোদবৃষ্টি
অথবা
জখম ঢেউগুচ্ছ
প্রতিদিন
জানালায় মুখ বাড়িয়ে দেখি
শব্দ
আর শব্দের বউ যায়
নীল
মাধবীর সোহাগে রাঙা হয় মুখ
কোথাও
রং নেই তবু বাড়ি ভর্তি গল্প
পুরনো
সঙ্কটের নতুন জন্ম
ব্যক্তি
ও বাচ্যার্থে জ্বলে ওঠা শ্রাবণ
গন্ধরাজের
মেঘ ছাপিয়ে নামে উঠোন
লম্বা
জীবনের গুহা ও গেরস্থালি
অন্ধকার
ও আলোর উপমা খুঁজে
হাঁস
ও সাঁতারগুলি কার্যকরী ভূমিকা শেখায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন