বর্ষাকালীন লেখা
(১)
এখন সিঁদুর আকাশ
গাছের শরীরে ঘ্রাণ নেয়
কল্পনামাসি তার বাসন
পুকুরের সাথে ভাব করিয়ে
কোন বাঁশবনে যে হারালো
শিশুর কান্না রাস্তায় বেজে গেলে
বেলুন না
বড় মা পায়
(২)
নক্ষত্রবাড়ির সামনে দিয়ে
প্রীতিদি প্রতিদিন যায়
শব্দে নিঃশব্দে তার যাওয়া
চিনে নেয় টগরের ঝোপ
এই যে তুলসীমালা
গলা ধরে আছে
সেখানে শ্যাম বাজে
অন্ধকার রান্নাঘর শোনে
আর পুড়ে যায়
নক্ষত্র হবার আগে
(৩)
খাঁচার পাখিও ভোর ডাকে
আহত ডানায়
লেগে থাকে বনসাইয়ের গন্ধ
ঘরের চাবি হারিয়ে গেলে
একটা চাপ
জানালার
খুঁজতে থাকে মুক্তির মসিহা
যন্ত্রণার একটি খাঁচাজন্ম
বাবা বেশ জানত
(৪)
বর্ষা শরীরে মেয়েটি হলুদফুল
ট্রেনের থেকে চোখ মাছরাঙা
ভিজে যায় অসীমের সীমা
সমস্ত পথ থেকে উড়ে যায় গাছ
পাতায় পাতায় লেখা জল
সজলের শ্রুতিরূপকথা
মিড়
(৫)
ধূসর দেশের কথা ও তার পাহাড়ি মেয়ে
জানালা ঠিক পড়ে নেয়
ভিড়ের দেহগুলি পেরিয়ে এলে
ট্রেনে সবুজ সবজির ঘ্রাণ
বাঁশির রাধাবেলা দুপুরকে ধরে
অজয়ের ঠুংরি
এঘর ওঘর পেরিয়ে দিয়ে যায়
রুমাল শান্তিনিকেতনের
চোখের ভিতর নদী এলে
বেহালায় বেহালায় মেলোডিবিতান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন